বেইজিংয়ে প্রেসিডেন্ট সির বিরুদ্ধে বিরল বিক্ষোভ - Southeast Asia Journal

বেইজিংয়ে প্রেসিডেন্ট সির বিরুদ্ধে বিরল বিক্ষোভ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও তাঁর সরকারের কঠোর করোনাবিধির বিরুদ্ধে দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে বিরল বিক্ষোভ হয়েছে। খবর বিবিসির।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেসের প্রাক্কালে বিরল এ বিক্ষোভ হলো। আগামী রোববার থেকে এই কংগ্রেস শুরু হচ্ছে। কংগ্রেসে ৬৯ বছর বয়সী সি চিন পিং তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে পারেন।

বিভিন্ন ছবি-ভিডিওতে দেখা যায়, বেইজিংয়ের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় হাইদিয়ান এলাকার একটি সেতুতে বিক্ষোভকারীদের দুটি বড় ব্যানার ঝুলছে।

একটি ব্যানারে লেখা ছিল: ‘কোনো কোভিড পরীক্ষা নয়, আমরা খেতে চাই। কোনো বিধিনিষেধ নয়, আমরা স্বাধীনতা চাই। কোনো মিথ্যা নয়, আমরা মর্যাদা চাই। কোনো সাংস্কৃতিক বিপ্লব নয়, আমরা সংস্কার চাই। কোনো নেতা নয়, আমরা ভোট চাই। দাস না হয়ে আমরা নাগরিক হতে চাই।’

আরেকটি ব্যানারে অধিবাসীদের স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে ধর্মঘট শুরুর আহ্বান জানানো হয়। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে স্বৈরশাসক ও জাতীয় বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে বলা হয়।

কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ দ্রুত বন্ধ হয়ে যায় বলে প্রতীয়মান হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, সেতু থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ছে। এক ব্যক্তিকে লাউডস্পিকারে বিক্ষোভের স্লোগান দিতে শোনা যায়।

ঠিক কী কারণে সেতু থেকে ধোঁয়া উড়ছিল, তা জানা যায়নি। বিবিসির সংবাদকর্মীরা পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু দেখতে পাননি। তবে এলাকাটিতে পুলিশের উপস্থিতি দেখেছেন তাঁরা।

বেইজিংয়ে অনুষ্ঠেয় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে প্রায় ২ হাজার ৩০০ জন শীর্ষ কর্মকর্তা ও দলীয় প্রতিনিধি অংশ নেবেন। কংগ্রেসে কয়েক দশকের প্রথা ভেঙে সি চিন পিংকে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাধারণত বেইজিংয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস সামনে রেখে রাস্তায় রাস্তায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সম্মেলনস্থলের আশপাশের এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আধা সামরিক পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।

চীনের অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেইজিংয়ে করোনার বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে। প্রতি তিন দিন পরপর লাখো বাসিন্দার করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সব ভবনের প্রবেশপথে লোকজনের সুস্থতা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

পাশাপাশি মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্য শহর থেকে বেইজিংয়ে প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি চলছে। আবার বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের শহরের বাইরে যাওয়া নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কংগ্রেসের আগে রাজধানীতে ক্ষোভ-হতাশা বাড়ছে।