রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তহবিল সরবরাহে ভাটা - Southeast Asia Journal

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তহবিল সরবরাহে ভাটা

aerial, drone, landscape, LOCATION: Cox's Bazar, Bangladesh DATE: October 30, 2018 SUBJECT: Families, Family, Street Life, Cultural, Play, Sampan, Fishing Boats, Royhinga, Refugees CREW: Photographer: Ryan Donnell NY Producer: Jennifer Rupnik Local Producer: Ghazal Javed Marketing: Meredith Jacobson Local: Sesame Workshop Bangladesh (Khalil Rahman) Performers: Sayma Karim (Tuktuki); Asharaful Alam Khan (Halum); Sudip Chandra Das (Halum/righthand); Elmo (Shuvankar Das Shuvo);

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তহবিল সরবরাহে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত বা প্রতিশ্রুত তহবিল না আসায় কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) তাদের বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি কমিয়ে আনতে শুরু করেছে।

বৈদেশিক সাহায্যের বিষয়টি সমন্বয়কারী জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের (জেআরপি) হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা মোট ৮৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা চাইলেও গত আগস্ট পর্যন্ত মিলেছে মাত্র ২৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। শেষ পর্যন্ত গত বছর মোট কী পরিমাণ অর্থ এসেছে, তা নিয়ে হিসাব-নিকাশ এখনো চলছে।

২০১৭ সালের আগস্ট থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে শুরু করে। বারবার চেষ্টা করেও বাংলাদেশ সরকার তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারেনি। সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার হিসাবে ভাসানচরসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ পরিবারে ৯ লাখ ৩৮ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাস করছে। যদিও বাংলাদেশের হিসাবে রোহিঙ্গার মোট সংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি। মূলত ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, জ্বালানি ও চিকিৎসার মতো বিষয়গুলোতে সহায়তা দিয়ে আসছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা, জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। আর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শিক্ষার বিষয়টির দেখভাল করে ইউনিসেফ।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তারা মূলত অর্থ ব্যয় করে থাকে। বাংলাদেশ সরকারের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ১৫০টি এনজিও রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে কাজ করছে। সম্প্রতি ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় কয়েকটি এনজিও পর্যাপ্ত তহবিল পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাদের কিছু কর্মসূচি কাটছাঁট করার উদ্যোগ নিয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় নিযুক্ত সরকারি সংস্থা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রত্যাশা অনুযায়ী আসছে না, যা এখন আরও কমে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মানবিক সহায়তার জন্য সমন্বয়কারী সংস্থা ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) তথ্য অনুযায়ী, মূলত ২০১৯ সাল থেকেই ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থ সহায়তা। ২০১৯ সালে ৯২ কোটি ডলার চেয়ে ৬৯ কোটি ২০ লাখ ডলার পাওয়া গেছে। ২০২০ সালে ১০৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার চেয়ে পাওয়া গেছে ৬৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার।