মিয়ানমারে জোরদার প্রতিরোধ বাহিনীর হামলা, ৪ দিনে নিহত শতাধিক সেনা - Southeast Asia Journal

মিয়ানমারে জোরদার প্রতিরোধ বাহিনীর হামলা, ৪ দিনে নিহত শতাধিক সেনা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারে গত চার দিনে জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ বাহিনী ও সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী সেনাবাহিনীর ওপর হামলা জোরদার করেছে। মিয়ানমার-বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইরাবতী শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত চার দিনে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে বিরোধীদের হামলায় অন্তত ১১৪ জন সরকারি সেনা নিহত হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, পিপল’স ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও কারেন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র গোষ্ঠী যৌথভাবে সরকারের বর্ডার গার্ড ফোর্সেস (বিজিএফ)-এর ওপর একাকিধ হামলা চালিয়েছে। কারেন রাজ্যের মিয়াবতী টাউনশিপে এই হামলা চালানো হয়।

কারেন ও চিন রাজ্যের সাগাইং, মান্দালয়, মাগওয়ে ও তানিন্থারি অঞ্চলেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। তবে স্বতন্ত্রভাবে হতাহতের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি।

বুধ ও বৃহস্পতিবার কারেন রাজ্যের মিয়াবতী টাউনশিপে প্রতিরোধ বাহিনীর হামলায় নিহত ৮৫ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছে। এখানে পিডিএফের সঙ্গে হামলায় যোগ দেয় বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী। সম্মিলিতভাবে তারা বিজিএফ-এর অন্তত পাঁচটি ফাঁড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিরোধবাহিনীর এক কমান্ডার।

দুই দিন ধরে পরিচালিত হামলায় বিজিএফ-এর পাঁচটি ফাঁড়ি দখলের পর সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৭৫টি আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার তানিন্থারি অঞ্চলে সেনাবাহিনীর একটি ট্রাকে হামলা চালানো হয়েছে। এতে পিডিএফ-এর তিনটি গোষ্ঠী অংশ নেয়। হামলায় অন্তত ১০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছে। একই অঞ্চলে আরেকটি হামলায় এক সেনা নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে।

চিন ন্যাশনাল আর্মি (সিএনএ) দাবি করেছে, বুধবার চিন রাজ্যে ফালাম-হাখা মহাসড়কে তাদের একটি যৌথ হামলায় সেনাবাহিনীর ৯ সদস্য নিহত হয়েছে।

মাগওয়ে অঞ্চলে বুধবার পিডিএফ গোষ্ঠীর সদস্যদের হামলায় দুই সেনা নিহত ও অপর ছয়জন আহত হয়েছে। এখানে তারা একটি সামরিক কলামে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।

সাগাইং অঞ্চলে বুধবার প্রতিরোধবাহিনীর হামলায় অন্তত চারজন জান্তাপন্থি মিলিশিয়া নিহত হয়েছে। এখানে জান্তার বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়া মান্দালয়ে একটি সামরিক বহরে হামলা চালিয়েছে পিডিএফ।

প্রতিরোধ বাহিনীর এসব হামলার মধ্যে বৃহ্স্পতিবার মাগওয়েতে পিডিএফ ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এই আক্রমণে অংশ নেয় সেনাবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার।