কঙ্গোতে উদ্বাস্তু শিবিরে হামলায় নিহত ৪৫

নিউজ ডেস্ক
সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া উদ্বাস্তুদের শিবিরে (ক্যাম্প) হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় প্রায় ৪৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ বলছে, গত রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এই হামলা চলে। কোঅপারেটিভ ফর দা ডেভেলপমেন্ট অব কঙ্গো (সিওডিইসিও) নামক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর একটি জোটের যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা ডিজুগু অঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষের ওপর এই গণহত্যা চালায়।
মাকি লোম্বে নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ৪০টিরও বেশি মরদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছেন। ঘটনার রাতে পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পান তিনি।
বাসনা মালোদ্রা নামে দেশটির এক বিশিষ্টজন বলেন, অনেক মানুষকে বাড়ির মধ্যে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্যদের ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়।
এদিকে লেন্দু সম্প্রদায়কে অন্য জাতিগোষ্ঠী, হেমা ও ডিআরসি সেনাবাহিনী থেকে রক্ষা করার দাবি জানিয়ে সিওডিইসিও।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই আক্রমণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে। শান্তিরক্ষা মিশন মনে করে বেসামরিক জনগণের ওপর ইচ্ছাকৃত এই হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল।
স্থানীয় নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীর প্রধান চারিট বানজা বলেন, নিহতদের গণকবরে দাফন করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এখানো কোনো নিরাপত্তা নেই। আমরা এটি প্রতিনিয়ত বলে আসছি। ইতুরিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংলাপের কয়েকদিন পর এই হামলার ঘটনা ঘটল।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ইউএন-ওসিএইচএ) তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানায়, জাতিগত দ্বন্দের কারণে নিজেদের ঘর ছেড়ে কঙ্গোর সীমান্তে ইতুরিতে আশ্রয় নিয়েছে আইডিপি নামের এই জনগোষ্ঠী। যেখানে আশ্রিত ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে এর মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে বুলে এলাকায় নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সিওডিইসিও ক্রমান্বয়ে ছিন্নমূল মানুষদের ক্যাম্পে হামলা চালাচ্ছে। গত বছরে বুলের আরেকটি ক্যাম্পে হামলা চালায় যেখানে প্রায় ৬০ জন মানুষ নিহত হন।
সূত্র: আল-জাজিরা