ডুরান্ড কাপ ফুটবল: সেরা খেলা উপহার দিতে চায় সেনাবাহিনী

নিউজ ডেস্ক
ভারতের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে আগামী ৩ আগস্ট। কলকাতার সল্টলেকের মাঠে প্রতিপক্ষ উপমহাদেশের আরেক বড় দল মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট। এই দুই দলের মধ্যে অনেক পার্থক্য। শক্তির তারতম্য রয়েছে। তার পরও সেনাবাহিনী তাদের নিজেদের খেলোয়াড় নিয়ে সেরা খেলাটা উপহার দিতে প্রস্তুত। মোহন বাগান মাঠে নামবে বিদেশি ফুটবলারদের নিয়ে। আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লড়াই করবে শুধু নিজেদের খেলোয়াড়দের শক্তির উপর ভর করে। কাগজে-কলমে মোহন বাগান এগিয়ে থাকলেও সেনাবাহিনীর ফুটবলারদের মধ্যে রয়েছে অদম্য শক্তি, আত্মবিশ্বাস। এই মূলমন্ত্রটাকে মাঠে লড়াইয়ে কাজে লাগাতে চান তারা।
আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফ জানান, ডুরান্ড কাপ ফুটবলে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামর্থ্যের সেরা খেলাটা দেখানো। আমাদের ফুটবলাররা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের লক্ষ্য ভালো খেলে দেশের সম্মান বয়ে আনা।’ চেয়ারম্যান জানান, আমাদের সেনাবাহিনী প্রধান মহোদয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফুটবল দল এই প্রথম বারের মতো ভারতের ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপ ফুটবলে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে।’
মোহন বাগান ছাড়া গ্রুপ পর্বে সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ম্যাচ ৬ আগস্ট, ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে এবং গ্রুপের শেষ ম্যাচ ১০ আগস্ট রাউন্ডগ্লাস পাঞ্জাবের বিপক্ষে। তিনটি খেলাই যুব ভারতীতে, সল্টলেক স্টেডিয়ামে।
ডুরান্ড কাপ ফুটবলের এটি ১৩২তম আসর। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছাড়াও টুর্নামেন্টে খেলবে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ত্রিভুবন আর্মি এফসি। সব মিলিয়ে ২৩ দল খেলবে বিভিন্ন গ্রুপে। অন্যদলগুলোর মধ্যে রয়েছে জামশেদপুর, মহমেডান, মুম্বাই সিটি এফসি, চেন্নাই, দিল্লী, হায়দরাবাদ, এফসি গোয়া, শিলং লাওঝং, বেঙ্গালুরু এফসি, গোকুলাম কেরালা, রাজস্থান ইউনাইটেড ওড়িশা প্রমুখ।