সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরও ৭ স্থল বন্দরের চিন্তা করছে ভারত - Southeast Asia Journal

সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরও ৭ স্থল বন্দরের চিন্তা করছে ভারত

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা গতকাল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল) ও নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন ও নবনির্বাচিত পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বক্তব্য রাখেন।

অন্যান্যদের মধ্যে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন, চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, নবনির্বাচিত পরিচালক মাহবুবুল হক মিয়াসহ হাই কমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অন্যতম বাণিজ্য সহযোগী। বিশেষ করে চট্টগ্রামের সাথে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য উভয়দেশের মধ্যে ট্রেড ফ্যাসিলিটি আরো বাড়াতে হবে। দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দরসমূহে কানেক্টিভিটির পাশাপাশি আধুনিকায়নের উপর জোর দিতে হবে। ভারত সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরো ৭টি স্থল বন্দর গড়ে তোলার চিন্তা ভাবনা করছে। এছাড়া বাণিজ্য সহজীকরণ করতে আমদানি–রপ্তানি পণ্য কীভাবে কমন টেস্টিং ফ্যাসিলিটির আওতায় আনা যায় সে বিষয়ে উভয়দেশের কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের একক এবং যৌথ বিনিয়োগের জন্য চেম্বার টু চেম্বার যোগাযোগের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার। দুদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিশ্বে উদাহরণ তৈরি করেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রুপিতে বিনিময়ে আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এছাড়া ভারত ৭টি প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি কোটায় বাংলাদেশকে রাখায় বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরো জোরদার হবে। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হলো প্রস্তাবিত কম্প্রিহেন্সিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ)। এটি উভয়দেশের জন্য গেইম চেঞ্জার হবে। যার মাধ্যমে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।

চেম্বার সভাপতি আরো বলেন, কানেক্টিভিটির দিক দিয়ে চট্টগ্রামের সাথে ভারতের মাল্টিমোডাল যোগাযোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের চট্টগ্রামে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

চেম্বার সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি। এটি নিরসনে বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে ভারতকে এগিয়ে আসা উচিত। ভারতের সাথে বাংলাদেশের ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট চুক্তি অনুযায়ী গত এপ্রিলে সর্বশেষ ট্রায়ালরান হলেও আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। ট্রানজিট চুক্তি অনুযায়ী কোন সমস্যা না থাকলে এটি ফলপ্রসূ করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।