পদ্মা রেল প্রকল্পে যুক্ত হতে পেরে সেনাবাহিনী গর্বিত: সেনাপ্রধান - Southeast Asia Journal

পদ্মা রেল প্রকল্পে যুক্ত হতে পেরে সেনাবাহিনী গর্বিত: সেনাপ্রধান

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সেনাবাহিনী প্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশ ও জাতির উন্নয়ন সহযোগী হতে পেরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গর্বিত।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় সর্বাধুনিক ডিজাইন অনুসরণ করে প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। দেশ ও জাতির উন্নয়ন সহযোগী হতে পেরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গর্বিত। আগামীতেও এ ধরনের উন্নয়নে সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করবে ইনশাআল্লাহ।

সেনাপ্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে রোল মডেল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও আজ দক্ষ এবং সমৃদ্ধ। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও শান্তি রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার থেকে পাওয়া সব প্রকল্প বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে গুণগত মান ঠিক রেখে বাস্তবায়ন করে থাকে। পদ্মা সেতু প্রকল্পটিও সঠিক সময়ের মধ্যে হচ্ছে।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, ঢাকা-যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার পথের পুরো কাজ শেষ না হওয়ায় এই দফায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে বাকি কাজ শেষ হবে।

অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হলো। যদিও যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্প উদ্বোধন হবে ২০২৪ সালের জুনে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত পদ্মা সেতু রেল লিংক এই রুটটি। এ রুট দিয়ে বাংলাদেশের রেলপথ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে।