প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে চারদিনে মিয়ানমারে ৭৬ সেনা নিহত
![]()
নিউজ ডেস্ক
এ সময়ে তিনজন প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং দু’জন বেসামরিক লোকও নিহত হয়েছেন। দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর উপর অব্যাহত হামলায় এসব নিহতের ঘটনা ঘটেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স গ্রুপ এবং উপজাতি গোষ্ঠীগুলো।
শনিবার শান রাজ্যের কোকেং এলাকার সংঘর্ষে ১৬ জন মিয়ানমার জান্তা সদস্য নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছে। মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) সেহনাবাহিনীর ৩০ সদস্যের একটি বহরে হামলা চালিয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটানো হয়।
এই সংঘর্ষ দুই ঘন্টা স্থায়ী হয়। সেনাবাহিনীর অন্যান্য সদস্য পালিয়ে গেছে। পালানোর সময় তারা ১১টি অস্ত্র, রেডিও এবং স্যাটেলাইট ফোন ফেলে গেছে। কোকেং নিউজ শো’র প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
প্রতিরোধ গ্রুপ এবং শিন গণমাধ্যম সূত্রে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার শিন রাজ্যের সংঘর্ষে শিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স এবং শিন ন্যাশনাল আর্মির দুইজন প্রতিরোধ যোদ্ধা থান্টল্যাং টাউনশিপে নিহত হয়েছে।
ইরাবতির অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ন্যাশনাল চিজপাওয়ার অ্যাগ্রিমেন্ট থেকে সরে যাচ্ছে তিনটি সশস্ত্র গ্রুপ – কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ), শিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (সিএনএফ) এবং অল বার্মা স্টুডেন্টস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। এই চুক্তির আট বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানী নেপিডোতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উল্লিখিত গ্রুপগুলো যোগ দেবে না।
গ্রুপগুলো বলেছে, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনী চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে। একইসঙ্গে তারা সেনাবাহিনীর প্রস্তুত করা সংবিধানও বাতিল দাবি করেছে।