রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কানাডার অংশীদারত্ব অটুট রাখার অঙ্গীকার

নিউজ ডেস্ক
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উদারভাবে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী উপমন্ত্রী (এশিয়া প্যাসিফিক) ওয়েলডন এপ। একই সঙ্গে এই সংকট মোকাবিলায় কানাডার অংশীদারত্ব অটুট রাখার ব্যাপারে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
কানাডার রাজধানী অটোয়ায় শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) পঞ্চম বাংলাদেশ-কানাডা ফরেন অফিস কনসালটেশন্স অনুষ্ঠিত হয়। দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের মধ্যকার এই কনসালটেশন্সে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। অপরদিকে কানাডার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ওয়েলডন এপ। এসময় তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, কারিগরি সহায়তা, অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলাসহ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব এসময় পারষ্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। কানাডার সহকারী উপমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উদারভাবে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের সেবা খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষতার উন্নয়ন, বাণিজ্য সহজীকরণ, বিশুদ্ধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও প্রযুক্তি এবং কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও সাজাপ্রাপ্ত খুনি নূর চৌধুরীকে কানাডা হতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলমসহ অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।