ভারতীয় ট্রলার ডুবির ঘটনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে জড়িয়ে অপপ্রচার

ভারতীয় ট্রলার ডুবির ঘটনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে জড়িয়ে অপপ্রচার

ভারতীয় ট্রলার ডুবির ঘটনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে জড়িয়ে অপপ্রচার
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে জড়িয়ে একটি ভারতীয় মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনায় ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। প্রচারিত তথ্যে দাবি করা হয়, ভারতের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ‘PAROMITA-10’ নামের একটি ভারতীয় মাছ ধরার ট্রলারকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে। তবে নৌবাহিনী স্পষ্ট করে জানায়, এই দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও ভিত্তিহীন।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুর্ঘটনার সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১২ মাইলেরও বেশি দূরে বাংলাদেশের জলসীমার ভেতরে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। ফলে ভারতীয় জলসীমায় কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা সংশ্লিষ্ট ট্রলার ডুবির সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সম্পৃক্ততার প্রশ্নই ওঠে না।

নৌবাহিনী জানায়, গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর ২০২৫) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের মেরিটাইম রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এমআরসিসি) থেকে মেরিটাইম রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টার, ঢাকাকে ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয় যে, ‘IFB PAROMITA-10’ নামের একটি ভারতীয় মাছ ধরার ট্রলার বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় জলসীমায় ১৬ জন জেলেসহ দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে ডুবে গেছে।

ভারতীয় ট্রলার ডুবির ঘটনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে জড়িয়ে অপপ্রচার

একই বার্তায় জানানো হয়, ভারতীয় আরেকটি মাছ ধরার ট্রলার ‘IFB RAGHUPATI’ এ পর্যন্ত ১১ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে এবং বাকি পাঁচজন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে ভারতীয় কোস্ট গার্ড পার্শ্ববর্তী সকল জাহাজ ও মাছ ধরার ট্রলারকে সহায়তার আহ্বান জানায়।

এ প্রেক্ষিতে ভারতীয় এমআরসিসির বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজকে বাংলাদেশের জলসীমায় দ্রুত অনুসন্ধান ও সহায়তামূলক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নৌবাহিনীর জাহাজ ভারতীয় কোস্ট গার্ড ও বাংলাদেশের স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে সমন্বয় করে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে।

নৌবাহিনী জানায়, এ ধরনের উদ্যোগ মানবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে।

অন্যদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছে নৌবাহিনী। ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে সকল সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে যেকোনো নৌ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিয়মিতভাবেই আন্তর্জাতিক নৌ আইন ও মানবিক দায়বদ্ধতার আলোকে সমন্বিত অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়ে থাকে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *