মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছে নৌ-প্রযুক্তি বিক্রি ভেরিপোসের! - Southeast Asia Journal

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছে নৌ-প্রযুক্তি বিক্রি ভেরিপোসের!

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্কঃ

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছে ব্রিটিশ কোম্পানি ভেরিপোস ৭০ হাজার পাউন্ড মূল্যের নৌ-প্রযুক্তি বিক্রি করেছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

অ্যাবারডিন ভিত্তিক ভেরিপোস ৫৯টি আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে একটি। ছয় মাসের গবেষণায় চিহ্নিত মিয়ানমার সেনাবাহিনী (তাতমাডো) রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু-মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দুই বছরের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ বার্মা কর্তৃপক্ষ মনে করছে, রোহিঙ্গারা অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, যারা তাদের ভূমিতে বসতি স্থাপন করেছে।

এদিকে জাতিসংঘ মিয়ানমারে চালিত গণহত্যা, গণধর্ষণ এবং ব্যাপক অগ্নিসংযোগকে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ‘চরম অপরাধ’ অ্যাখ্যায়িত করে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সাল থেকে এযাবৎ প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘু প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে জাতিগত নিধন এবং আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রায় ৯৮ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সামরিক প্রযুক্তি ক্রয় করে, যা জাতিসংঘের সর্বশেষ গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় আরো জানা যায়, সেনা প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেশীয় বিভিন্ন কোম্পানিকে এক্ষেত্রে অর্থ বিনিয়োগ করার আহ্বান জানায়- যা সুস্পষ্ট মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

ব্রিটিশ কোম্পানি ভেরিপোস ছাড়াও চীন, রাশিয়া, ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ফিলিপাইন এবং ইসরায়েলের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক লেনদেন হয়েছে বলে গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে।

এছাড়াও বেলজিয়াম, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নরওয়ে ভিত্তিক বিভিন্ন কোম্পানি মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধবিমানসহ যুদ্ধ জাহাজ, ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি, বন্দুক এবং অন্যান্য প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে।

ভেরিপোস ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ‘মিয়ানমার নেভাল হাইড্রোগ্র্যাফিক সেন্টার’ (মিয়ানমার নৌ-বাহিনী) কে আনুষাঙ্গিক সরজ্ঞামসহ জিপিএস প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এই প্রযুক্তি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হয়নি বলে দাবি ভেরিপোসের। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, “আমাদের প্রযুক্তি পণ্য সমুদ্র জরিপসহ নৌ-বাহিনীর সাধারণ কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছে ।” ভেরিপোস এক্ষেত্রে সকল প্রকার নৈতিকতা এবং জাতিসংঘের নীতিমালা পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।