পাহাড়ীরা বাংলাদেশের অখন্ডতা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী- উষাতন তালুকদার
![]()
নিউজ ডেস্কঃ
পাহাড়ীরা কারো বিরুদ্ধে নয়, আমরা বাংলাদেশী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অখন্ডতায় পাহাড়ীরা বিশ্বাসী মন্তব্য করে রাঙ্গামাটির সাবেক সাংসদ ও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস’র সহ-সভাপতি উষাতন তালুকদার বলেছেন, কোন দাবি আমরা সরকারের কাছে জানাতে-ই পারি, কিন্তু সেটা নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার কোন যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির সময় আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছি, একটা বুলেটও রেখে আসি নাই , সে সময় ইউপিডিএফ জন্ম নিলো কিভাবে? এরপর সংস্কারসহ ৪টি গ্রুপ কিভাবে জন্ম হয়েছে এর সমাধান সরকারের কাছে। সরকার চাইলে ৪টি কেন, একটা গ্রুপও থাকবে না, এজন্য সরকারকে আন্তরিক হয়ে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তবে সরকার অন্য পথে হাটলে এটি কারো জন্য মঙ্গলজনক হবে না। পাহাড়ের মানুষ বরাবরই শান্তি প্রিয়, কিন্তু কিছু মানুষ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য পাহাড়কে অশান্ত করার চেষ্টা চালায় দাবি করে তিনি বলেন এতে নষ্ট হয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে রাঙামাটিতে আদিবাসী ফোরাম, পার্বত্য অঞ্চলের আয়োজিত আলোচনা সভা ও র্যালীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উষাতন তালুকদার এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (৯ আগষ্ট) সকাল ১০টায় রাঙামাটি পৌরসভা চত্ত্বরে কবুতর উড়িয়ে আদিবাসী দিবসটির উদ্ধোধন করেন চাকমা সার্কেলের রাণী য়েন য়েন রায়।
এরপর পাহাড়ে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, পাহাড়ীদের দাবি রাষ্ট্র বিরোধী নয়। এটি কোনো জাতির বিরুদ্ধে নয়। এটি আদিবাসীদের অস্থিত্ব রক্ষার দাবি। কিন্তু কিছু মহল আদিবাসীদের এ দাবিকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আদিবাসীদের দাবিটি রাষ্ট্র বিরোধী বলে অপপ্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের সংবিধানে আজও আদিবাসীদের জাতিসত্তা, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ভূমি অধিকারসহ মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি নেই।
পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে পৌর প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বনরূপা হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়।