জাতিসংঘ মিশনে দুর্গম এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন মানেই বাংলাদেশি স্পেশাল ফোর্স
 
                 
নিউজ ডেস্ক
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় জটিল কোনো অপারেশনে যখন অন্য দেশের কন্টিনজেন্টগুলো ব্যর্থ হয়, তখন ডাক পড়ে বাংলাদেশ স্পেশাল ফোর্স কন্টিনজেন্টের (ব্যানএসএফসি)। দুর্গম এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন মানেই বাংলাদেশি ব্যানএসএফসি।
এই কন্টিনজেন্টের সদস্যরা বলছেন, বাংলাদেশের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে যেকোনও ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত তারা।
আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক অন্যতম। দেশটিতে শান্তি স্থাপন ও সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘের মিনুস্কা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশ। আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্পেশাল ফোর্স কন্টিনজেন্টের ভূমিকা অতুলনীয়।
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের আকাশে ওড়ে লাল সবুজের পতাকা। দেশটির মাটিতে একমাত্র র্যাপলিং টাওয়ারটিও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের তৈরি। মিনুস্কা মিশনে বিভিন্ন দেশের একাধিক কন্টিনজেন্ট থাকলেও কোথাও নেই এই ধরনের ট্রেইনিং টাওয়ার।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান টাওয়ারটির উদ্বোধনের পর স্পেশাল ফোর্স কন্টিনজেন্টের অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী সদস্যদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। কন্টিনজেন্টের নাম স্পেশাল ফোর্স, তাই প্রশিক্ষণও স্পেশাল।
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে জাতিসংঘের মিনুস্কা মিশনে অনেকগুলো দেশের শান্তিরক্ষীরা কাজ করেন। এই মিশনে বাংলাদেশ অন্যতম অংশীদার। যেকোনও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় জটিল অপারেশনে যখন অন্য দেশের কন্টিনজেন্টগুলো ব্যর্থ হয় তখন ডাক পড়ে বাংলাদেশের এই কন্টিনজেন্টের। এর নারী সদ্যস্যরাও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
ব্যানএসএফসি-৮ এর কমিউনিকেশন অফিসার ক্যাপটেন সিরাজাম মুনিরা পৃথা বলেন, ‘আমরা যখন কোনও অপারেশনে যাই, তখন পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে সমানতালে দায়িত্ব পালন করে থাকি।’
ব্যানএসএফসি-৮ এর কন্টিজেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘যেসব দুর্গম এলাকায় অন্য কন্টিনজেন্টরা পৌঁছাতে পারে না কিংবা তারা অপারগ, সেখানেই স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা ঝুঁকি নিয়েই ভালোভাবে কাজ সম্পন্ন করেন বলেই আমাদের নিয়োজিত করা হয়েছে।’
