নর্দান অ্যালায়েন্সের হামলায় মিয়ানমারে অন্তত ১৫ সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত
 
                 
নিউজ ডেস্কঃ
মিয়ানমারের সেনা বাহিনির একটি কলেজে ও পাঁচটি স্থানে হামলা চালিয়েছে সরকার বিরোধী বিদ্রোহীরা। এতে কমপক্ষে ১৫ সেনা সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমগুলো। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
বিবিসি, আল জাজিরা ও এপি সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে দেশটির দুর্গম উত্তরাঞ্চলে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে এই হামলা চালায় স্থানীয় জঙ্গিরা। সম্পূর্ন ধ্বংশ হয়ে গিয়েছে সেনা বাহিনির কলেজ ডিফেন্স সার্ভিস টেকনোলজিক্যাল অ্যাকাডেমি। গত কয়েক দশকে এই প্রথম এত বড় হামলার মুখে পড়ল সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি।
স্থানীয় তিনটি বিদ্রোহী সংগঠনের জোট- নর্দান অ্যালায়েন্স এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
বিবিসির বর্মী সার্ভিস বিভাগ জানিয়েছে, গত কয়েক দশক ধরেই স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠনগুলির সঙ্গে সেনার লড়াই চলেছ। এই কারণে শান প্রদেশ বারে বারে রক্তাক্ত হয়। স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির মিলিত সংগঠন নর্দান অ্যালায়েন্স এই হামলার নেতৃত্ব দিয়ে থাকে।
বিবিসি আরো জানায়, শান প্রদেশের পায়িন উ লউয়িন শহরে ডিফেন্স সার্ভিস টেকনোলজিক্যাল অ্যাকাডেমির পাশাপাশি আরও চারটি জায়গায় হামলা চালায় জঙ্গিরা।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি একটি সেতুর দখল নিতে এখনো সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রবল গোলাগুলি চলছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় একটি পুলিশ কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা।
সম্প্রতি মায়ানমার ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় পরপর জঙ্গি দম অভিযান চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সেই অভিযানে নাগা সংগঠন এনএসসিএন(খাপলাং) গোষ্ঠীর একটি ঘাঁটি দখল করা হয়। তারপর কেএলও ও আলফা (স্বাধীনতা) জঙ্গি সংগঠনের তিনটি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই মূলত পরিস্থিতি দিনের পর দিন খারাপ হতে চলেছে।
