বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় আরও ৫০ হাজার রোহিঙ্গা
![]()
নিউজ ডেস্ক
আবারও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার অপেক্ষায় সেখানকার ৫০ হাজার রোহিঙ্গা। দেশটির মংডু টাউনশিপ এলাকায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে।
সর্বশেষ শুক্রবার রাত থেকে মংডুর বিভিন্ন এলাকা থেকে থেমে থেমে মর্টার শেল, গ্রেনেড-বোমার বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসার খবর জানিয়েছেন বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী টেকনাফের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। আজ শনিবারও বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন অনেকে। আর এই নিয়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে গত ১২ দিনে প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসেছে। আরও প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। সংঘাত তীব্রতর হওয়ায় সবাই প্রাণে বাঁচতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছেন।
টেকনাফে আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মাইন উদ্দিন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি অবৈধভাবে বাংলাদেশে যেন আর কোনো রোহিঙ্গা ঢুকতে না পারে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে আমাদের একাধিক দল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাখাইনের মংডু টাউনশিপের সুদাপাড়া, ফয়েজীপাড়া, সিকদারপাড়া ও নুরুল্লাপাড়া গ্রাম থেকে রোহিঙ্গারা নৌকায় চড়ে নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে আসছে। এই কাজে দালালদের একটি চক্রও সহযোগিতা করছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নজির আহমদ বলেন, ৩০০ এর বেশি রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। তাদের বিজিবির কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফের কেরনতলির এক বাসিন্দার বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া জাহেদা বেগম (৩৫) ও নুর জাহান (৪০) জানান, দেশটিতে প্রচুর গোলাগুলি হচ্ছে। অনেকে মারা যাচ্ছেন। বোমার শব্দে সবাই প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
জানতে চাইলে টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর আরাফা বেগম বলেন, এতো জোরে আওয়াজ (শব্দ) হচ্ছে যেন ঘর-বাড়ি উড়ে যাবে। বাড়ির শিশুরা বিকট শব্দে কান্নাকাটি করছে। ভয়ে আছি।
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার ঘটনা সত্যি। প্রচুর রোহিঙ্গা দলে দলে আসছে। বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনী এখনও তাদের আটকাতে পারেনি।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।