মামুন হত্যার ঘটনায় মামলা, সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস উপদেষ্টা নাহিদের

মামুন হত্যার ঘটনায় মামলা, সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস উপদেষ্টা নাহিদের

মামুন হত্যার ঘটনায় মামলা, সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস উপদেষ্টা নাহিদের
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়িতে আলোচিত ফার্নিচার ব্যবসায়ী মামুন হত্যাকাণ্ডে মামলা হয়েছে। মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত নামা ১০/১২ পাহাড়ি ও বাঙালিকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

আসামীরা হলেন- মো. শাকিল (২৭), মো. রফিকুল আলম (৫৬) ও মো. দিদারুল আলম। নিহতের স্ত্রী মুক্তা আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলাটি দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বাদী মুক্তা আক্তার এজাহারে অভিযোগ করেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে তার স্বামী মো. মামুনকে অন্য আসামিদের নির্দেশে মো. শাকিল জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে সকালে জানতে পারে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে মোটরসাইকেল খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. মামুনকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জেরে সহিংসতায় ছড়িয়ে পড়ে। দীঘিনালায় অর্ধশতাধিক দোকানপাটে আগুন, স্বণির্ভরে সেনাবাহিনীর উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায়। সহিংসতার ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়িতে ৩ জন ও রাঙামাটি একজনসহ ৪ জন নিহত হয়।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ হাসান বলেছেন, সম্প্রতি দীঘিনালায় অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যে সকল ব্যবসায়ী ও দোকানদার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এবং এ অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিহতের ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাঁদেরকে বিচার ও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুনে পুড়ে যাওয়া লারমা স্কয়ার বাজার (ঘটনাস্থল) পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

এছাড়াও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সকল জাতি-গোষ্ঠীর মাঝে শান্তি-সম্প্রীতি অব্যাহত রাখতে সংঘাত-ভেদাভেদ ভুলে সমাধানের জন্য আলোচনার বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিভিন্ন বিষয়ে উপস্থিত দীঘিনালার মানুষের যে সমস্যার কথাগুলো শুনেছেন তার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি।

সবশেষে উপস্থিত সকল জাতি-গোষ্ঠীর মানুষদের পুরো দীঘিনালা একটি পরিবারের মত মনে করে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রেখে সহনশীল মনোভাব নিয়ে বসবাস ও বৈষম্য দূর করে সকলের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।