বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত
![]()
নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কর্তব্যরত পুলিশের তিন সদস্য। নিহতরা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার হ্নীলা ইউপির জামিদুড়া চাইল্ড ফেন্ডলি স্পেস অফিসের পেছনের পাহাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহতরা হলেন-টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের ১-২ নম্বর কক্ষের সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহাম্মদ ওরফে নেছার ও একই ব্লকের ১ নম্বর রুমের জমির আহম্মদের ছেলে আব্দুল করিম ওরফে করিম। তারা দুইজনই মিয়ানমারের মংডু পুইমালী ও হাইসুরাতার এলকার বাসিন্দা ছিলো।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি ডাকাতরা অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযান টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে এক পর্যায়ে ডাকাতরা পিছু হটে। পরে সেখানে দুই রোহিঙ্গা ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন । ওসি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশীয় অস্ত্র, সাত রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও নয় রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুই রোহিঙ্গার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট রাতে টেকনাফের জাদিমুরার একটি পাহাড়ে নিয়ে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করে রোহিঙ্গা ডাকাতরা। এ ঘটনার পর ২৪ আগস্ট রাতে দুই রোহিঙ্গা ডাকাত, ২৬ আগস্ট রাতে আরেক ডাকাত ও গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে অপর এক ডাকাত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।