স্থলমাইনে হতাহতের সংখ্যায় সিরিয়াকে ছাড়িয়ে গেল মিয়ানমার
নিউজ ডেস্ক
জান্তা সরকার ও জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কয়েক দশকের বিক্ষিপ্ত সংঘাতের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে প্রাণঘাতী যুদ্ধাস্ত্র ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। ল্যান্ডমাইন মনিটর ২০২৪ এর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, স্থলমাইন ও যুদ্ধের বিস্ফোরক ধ্বংসাবশেষের কারণে সবচেয়ে বেশি হতাহতের দেশ হিসেবে সিরিয়াকে ছাড়িয়ে গেছে মিয়ানমার।
২০২৩ সালে মিয়ানমারে স্থলমাইনে ১ হাজার জন হতাহতের ঘটনা রেকর্ড হয়েছে। যদিও ল্যান্ডমাইন মনিটর উল্লেখ করেছে, দেশটিতে কম তথ্য পাওয়ার কারণে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু ব্যান ল্যান্ডমাইন (আইসিবিএল) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর জান্তা এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠী উভয়ই স্থলমাইন মোতায়েনের মাত্রা ব্যাপকহারে বাড়িয়েছে। সুরক্ষিত রাজধানী নেপিডো ব্যতীত প্রতিটি অঞ্চলেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
আইসিবিএলের পরিচালক তামার গ্যাবেলনিক এক বিবৃতিতে বলেন, রিপোর্টে দেখা গেছে অ্যান্টিপার্সোনেল মাইনের আঘাতে শিশুসহ বেসামরিক লোকের হতাহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক।
আইসিবিএল বলছে, যে কোনো পরিস্থিতিতে অ্যান্টিপার্সোনেল মাইন ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য এবং অবশ্যই এর নিন্দা করা উচিত। যে সমস্ত দেশ এখনো এসব বন্ধ করছে না, তাদের মাইন ব্যবহার থেকে ফিরিয়ে আনতে। এই জঘন্য অস্ত্রের দ্বারা সৃষ্ট দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে ল্যান্ডমাইন নিষিদ্ধ চুক্তিতে যোগ দেওয়া উচিত।
ল্যান্ডমাইন নিষিদ্ধ চুক্তিটি ১৯৯৯ সালের ১ মার্চ এ কার্যকর হয়েছিল, যা অ্যান্টিপার্সোনেল মাইন ব্যবহার, উত্পাদন, মজুদ এবং স্থানান্তর নিষিদ্ধ করে। এই চুক্তি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, ল্যান্ডমাইন ছাড়পত্র এবং মজুদ ধ্বংস করাও বাধ্যতামূলক করে। এখন পর্যন্ত ১৬৪টি দেশ এই চুক্তিতে যোগ দিয়েছে।
মিয়ানমারে শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকরা প্রায়শই ল্যান্ডমাইনের ভুক্তভোগী হয়। রিপোর্টগুলো ইঙ্গিত দেয়, সামরিক বাহিনী ল্যান্ডমাইন উপদ্রুত অঞ্চলে বেসামরিক লোকদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে।
এদিকে, প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে স্থলমাইন ও যুদ্ধের বিস্ফোরক ধ্বংসাবশেষের কারণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৩৩ জন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে সিরিয়ায়। এরপর আফগানিস্তান ও ইউক্রেন, যেখানে পাঁচ শতাধিক হতাহতের খবর এসেছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।