বাস্তুতন্ত্র, প্রকৃতি ও পরিবেশ ঠিক রেখেই পাহাড়ে বাস্তবমুখী উন্নয়ন করা হবে: সুপ্রদীপ চাকমা

বাস্তুতন্ত্র, প্রকৃতি ও পরিবেশ ঠিক রেখেই পাহাড়ে বাস্তবমুখী উন্নয়ন করা হবে: সুপ্রদীপ চাকমা

বাস্তুতন্ত্র, প্রকৃতি ও পরিবেশ ঠিক রেখেই পাহাড়ে বাস্তবমুখী উন্নয়ন করা হবে: সুপ্রদীপ চাকমা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বাস্তুতন্ত্র, প্রকৃতি ও পরিবেশ অবস্থান সঠিক রেখেই পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই ও বাস্তবমুখী উন্নয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপদ্রীপ চাকমা।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আন্তর্জাতিক প্রজেক্ট ম্যানেজার ইয়্যুগেস প্রধানাং সাক্ষাতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউএনডিপি কর্তৃক প্রস্তাবিত ‘ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন এন্ড রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি’ শীর্ষক প্রকল্পের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল (টিএপিপি) প্রণয়নে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্টদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় এবং প্রকল্পে অন্যান্য বিষয়াবলি অন্তর্ভুক্ত নিয়ে প্রাথমিক দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা ছিল এটি। এ বিষয়ে আগামী ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে আরেকটি সভা আহ্বান করার কথা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অপার সৌন্দর্যকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। প্রকল্পের উন্নয়নের নামে প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো বিরূপ কিছু না ঘটিয়ে পাহাড়ের ঝোপ-ঝাড়, বন-জঙ্গল ও প্রাণিকুলের পরিবেশকে অক্ষুণ্ন রেখে বাঁশ, বেত-ঝোপ ঝাড়ের ন্যায় বৃক্ষ রোপণ বাড়াতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পানির লেয়ার বিনষ্ট না করে ডিপ টিউবওয়েলের পরিবর্তে গ্রাউন্ড সারফেইস-এর পানি ব্যবহার করতে সংশ্লিষ্টদের বলেছেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এ প্রকল্পে সম্পৃক্ত রাখার জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরামর্শ দেন উপদেষ্টা।

পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, সমাজের গতিশীলতা আনতে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা পদ্ধতিগুলোয় উদ্ভাবনী জ্ঞানকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কোয়ালিটি এডুকেশন গড়ে তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে। একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্ভাবনী শিক্ষার পদ্ধতিগুলি খুবই প্রয়োজন। তিনি বলেন, কোয়ালিটি এডুকেশন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে পৃথিবীর আধুনিক মানুষের সাথে চিন্তা চেতনার সমন্বয় করানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রকৃতি ও পরিবেশকে তার স্বকীয়তা বজায় রেখে ‘যেখানে যেমন, সেখানে তেমন’ উপায়ে সাজাতে হবে। তিনি বলেন, পানির উৎস হলো পাহাড়। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের পরিবেশকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে হবে। পাহাড় টিকিয়ে রাখতে হলে বন-জঙ্গল, ঝিরি, ঝরনা, বাঁশ ঝাড়ের চাষ বাড়াতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ খুবই কার্যকরী উপাদান। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, কাপ্তাই লেক এর পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহারে আমাদের আরও যত্নশীল হতে হবে। নদী-নালা-ঝিরির পানি সঠিক পদ্ধতিতে ধরে রাখা ও ব্যবহারে আরও উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া আমাদের বের করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে পরিবেশ রক্ষায় খুব বেশি সচেতন হতে হবে। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে তুলা চাষ, ইক্ষু চাষ, বাঁশ চাষ, আম, কলা, আনারস চাষ, কফি ও কাজু বাদাম ফলনের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বৈরী ও প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও দেশের টেকসই উন্নয়নে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ সমান অংশীদার হতে চায়।

এসময় ইউএনডিপি’র আন্তর্জাতিক প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইয়্যূগেস প্রধানাং এর নেতৃত্বে ইউএনডিপির ফরেস্ট এন্ড ওয়াটারসেড ব্যবস্থাপনার চিফ টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ ড. রাম শর্মা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, এনডিসি, যুগ্মসচিব কংকন চাকমা ও উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব (সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি) সুভাশীষ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।