রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো বিশেষ নিরাপদ অঞ্চল বা সেফ জোন গঠন সম্ভব নয়- মিয়ানমার - Southeast Asia Journal

রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো বিশেষ নিরাপদ অঞ্চল বা সেফ জোন গঠন সম্ভব নয়- মিয়ানমার

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির বাইরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো বিশেষ নিরাপদ অঞ্চল বা সেফ জোন গঠন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের পঞ্চম দিনে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর কার্যালয়ের মন্ত্রী কোয়ে তিন্ত সোয়ে বলেন, নির্বিঘ্ন ও সফল প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে প্রকৃত রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্তও কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। আর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় নতুন কোনও শর্ত প্রত্যাবাসনকেই ব্যর্থতায় পর্যবসিত করবে। সোয়ে বলেন, এক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশ, জাতিসংঘ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির জোটে আসিয়ানের মধ্য সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের মুখে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য ‘আরও উপযোগী পরিবেশ’ তৈরিতে মিয়ানমার এখন অগ্রাধিকার দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

বাংলাদেশের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যাবাসন হবে জানিয়ে কোয়ে তিন্ত সোয়ে বলেন, “মিয়ানমারের ভেতরে ‘সেইফ জোন’ বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরির চাপ রয়েছে। কিন্তু এটি নিশ্চিত করা যাবে না, বাস্তবসম্মতও নয়।” বাংলাদেশকে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বিশ্বস্ততার সঙ্গে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এটাই বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সমস্যা সমাধানের একমাত্র সম্ভাব্য উপায়। তিন্ত সোয়ে বলেন, এখন মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরিকে অগ্রাধিকার দেবে। রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত এসব বাস্তুচ্যুতদের ‘পৃথক আইনি মর্যাদা’ আছে। তালিকাভুক্ত এসব প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে যারা নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য তাদের ‘নাগরিকত্ব কার্ড’ দেওয়া। বাকিদের দেওয়া হবে ‘ন্যাশনাল ভেরিকেশন কার্ড’ (এনভিসি), যাকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের জন্য দেওয়া ‘গ্রিন কার্ড’ এর সঙ্গে তুলনা করেন এই কর্মকর্তা।

সোয়ে দাবি করেন, বর্তমান মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে, যখন চরমপন্থী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরএসএ) সশস্ত্র হামলা চালায়। তার আগে রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে সরকার সচেষ্ট ছিল।

বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে আছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা এসেছেন ২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে নতুন করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হওয়ার পর। জাতিসংঘ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযান হিসেবে বর্ণনা করে আসছে।