খ্রিস্টান মিশনারিদের ভয়ংকর ফাঁদ: উপজাতিদের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে ধর্মান্তর ও শোষণ!

খ্রিস্টান মিশনারিদের ভয়ংকর ফাঁদ: উপজাতিদের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে ধর্মান্তর ও শোষণ!

খ্রিস্টান মিশনারিদের ভয়ংকর ফাঁদ: উপজাতিদের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে ধর্মান্তর ও শোষণ!
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র চলছে। দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে উপজাতি সম্প্রদায়ের নিরীহ মানুষদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তর করা হচ্ছে, আর সেই সঙ্গে চলছে ভয়াবহ শোষণ ও যৌন নিপীড়ন!

সম্প্রতি যশোরের কেশবপুরে একটি খ্রিস্টান মিশনারি পরিচালিত ছাত্রী নিবাসে রাজেরুং ত্রিপুরা (১৫) নামে এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড।

ধর্মীয় শিক্ষা নয়, ধর্ষণ ও হত্যা—কি ঘটছে মিশনারিদের ছত্রছায়ায়?

নিহত রাজেরুং ত্রিপুরার পিতা রমেশ ত্রিপুরা থানায় দেওয়া অভিযোগে জানান, দারিদ্র্যের কারণে মেয়েকে কেশবপুরের খ্রিস্টিয়ান আউট রিচ সেন্টারে পাঠিয়েছিলেন। ১৩ মার্চ দুপুরে রাজেরুং পরিবারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে জানায়, হোস্টেল থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে না এবং পরিচালক খ্রিষ্টফার সরকারসহ কয়েকজন তাকে উসকানিমূলক কথা বলছে ও যৌন হয়রানি করছে।

রাজেরুং ত্রিপুরা

এরপর ১৫ মার্চ গভীর রাতে পরিবারের কাছে রাজেরুংয়ের ‘আত্মহত্যার’ খবর পৌঁছায়। কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, মিশনারি কর্তৃপক্ষ ১৪ মার্চেই মেয়েটির মৃত্যু গোপন করেছিল এবং সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য পরিবারকে চাপ দিয়েছিল।

নির্যাতন ও যৌন শোষণের স্বীকারোক্তি—সহপাঠীদের দাবি ধর্ষণ ও হত্যা!

রাজেরুংয়ের সহপাঠীদের দাবি, মিশনের ম্যানেজার তাকে ধর্ষণ করেছে, অপমানে সে আত্মহত্যা করেছে—এমনটাই প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, পুলিশ প্রথমে হত্যা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ঘটনাটিকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল। এলাকাবাসীর চাপে পরে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়।

উপজাতি সম্প্রদায়ের মেয়েদের নিশানা বানিয়ে ধর্মান্তর ও নির্যাতন

পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে খ্রিস্টান মিশনারিরা দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে উপজাতি পরিবারগুলোর সন্তানদের আশ্রয় ও শিক্ষার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করছে। শুধু ধর্মান্তরই নয়, সেখানে চলছে যৌন নিপীড়নের বিভীষিকা।

মিশনারিদের বিরুদ্ধে এর আগেও বহুবার এমন অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু প্রশাসনের নিরবতায় বিষয়গুলো ধামাচাপা পড়ে যায়।

এদিকে, থানচির আরও তিন ছাত্রী—রেবেকা ত্রিপুরা, স্বস্তিকা ত্রিপুরা, ও জসিমতা ত্রিপুরা—যারা ওই মিশনারি পরিচালিত ছাত্রাবাসে ছিল, তারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সহায়তায় উদ্ধার হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ধর্মান্তরকরণের চক্রান্ত—কেউ চুপ, কেউ জড়িত?

বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায়, বিশেষত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, বম ও খিয়াং সম্প্রদায়ের লোকেরা অভিযোগ তুলছেন যে, খ্রিস্টান মিশনারিরা দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে কৌশলে উপজাতিদের ধর্মান্তর করছে।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, মানবাধিকার সংগঠনগুলো সাধারণত ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিতকরণ নিয়ে সরব থাকলেও, খ্রিস্টান মিশনারিদের কার্যক্রম নিয়ে তারা নীরব। কেউ যদি মুসলিম ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করে বা কোনো বিচ্ছিন্ন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, তখনই তারা প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে। কিন্তু মিশনারিদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে তারা কেন নীরব?

তদন্ত ও বিচার দাবি!

রাজেরুং ত্রিপুরার পিতা থানায় মামলা করলেও মূল আসামিরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ ও প্রশাসন সত্য ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠন ও স্থানীয় জনগণের দাবি, দ্রুত স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

এই ঘটনা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, বরং এটি উপজাতি সমাজের বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।