গণমাধ্যম নীতিমালায় ‘আদিবাসী’ শব্দ অন্তর্ভুক্তির সুপারিশে পিসিসিপির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গণমাধ্যম নীতিমালায় ‘আদিবাসী’ শব্দ অন্তর্ভুক্তির সুপারিশে পিসিসিপির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গণমাধ্যম নীতিমালায় ‘আদিবাসী’ শব্দ অন্তর্ভুক্তির সুপারিশে পিসিসিপির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সম্প্রতি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ কর্তৃক জমা দেওয়া প্রতিবেদনে গণমাধ্যম নীতিমালায় ‘আদিবাসী’ শব্দের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। পিসিসিপি দাবি করছে, এই সুপারিশ বাংলাদেশের সংবিধান, জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী এবং এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

বিবৃতিতে পিসিসিপি জানায়, বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, দেশের জাতিগোষ্ঠীগুলিকে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ বা ‘উপজাতি’ হিসেবে উল্লেখ করতে হবে, ‘আদিবাসী’ নয়। ২০১১ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত প্রস্তাবেও ‘আদিবাসী’ শব্দের ব্যবহার সংবিধানবিরোধী বলে স্বীকৃত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহারের সুপারিশকে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে পিসিসিপি।

পিসিসিপি আরও উল্লেখ করে, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপজাতিরা নিজেদের ‘আদিবাসী’ দাবি না করে ‘উপজাতি’ হিসেবে পরিচিত করতে সম্মত হয়েছিলেন। তাহলে, এত বছর পরে কিছু কুচক্রী মহল কেন নিজেদের ‘আদিবাসী’ দাবি করছে? পিসিসিপি বলছে, এই ধরনের দাবির মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

পিসিসিপি’র দাবি:

১. ‘আদিবাসী’ শব্দের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ একটি ষড়যন্ত্র: পিসিসিপি মনে করে, বাংলাদেশের বাস্তবতায় কোনো জনগোষ্ঠী আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো ভারত, মিয়ানমার ও তিব্বত থেকে এসেছেন, এবং তাদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে পরিচিত করা ইতিহাস বিকৃতির শামিল।

২. আন্তর্জাতিক মহলে বিচ্ছিন্নতাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়ন: ‘আদিবাসী’ শব্দের স্বীকৃতি পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠীকে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়ার সুযোগ দেবে, যা বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।

৩. গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা: পিসিসিপি অভিযোগ করেছে, কিছু বিদেশি সংস্থা ও এনজিও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে এবং কামাল আহমেদ ও তার মতো ব্যক্তিরা এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার কিনা, তা তদন্ত করা প্রয়োজন।

পিসিসিপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, গণমাধ্যম নীতিমালায় ‘আদিবাসী’ শব্দ সংযোজনের সুপারিশ দ্রুত প্রত্যাখ্যান করতে হবে, অন্যথায় তারা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।

তারা আরও বলেছে, রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার চালানো ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের মূলধারার গণমাধ্যম যেন কোনো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

পিসিসিপি দেশপ্রেমিক জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে। তারা জানায়, মাতৃভূমির অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য পিসিসিপি সর্বদা প্রস্তুত।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।