খাগড়াছড়িতে গণমাধ্যমকর্মীদের ফুল বিজুর সংবাদ সংগ্রহে বাধা দিল ইউপিডিএফ! - Southeast Asia Journal

খাগড়াছড়িতে গণমাধ্যমকর্মীদের ফুল বিজুর সংবাদ সংগ্রহে বাধা দিল ইউপিডিএফ!

🔥 সাংবাদিকদের বাধা, গুলির শব্দ—এটাই কি পাহাড়ে উৎসবের চেহারা? খাগড়াছড়িতে ফুল বিজু উৎসবে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা যেভাবে বাধার মুখে পড়েছেন, তা শুধু দুঃখজনক নয়—বরং এটি সরাসরি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর বর্বর আঘাত! চেঙ্গী নদীর খবংপুড়িয়া ঘাটে “নো অ্যালাউ ফর মিডিয়া” লেখা লাল কাপড় ঝুলিয়ে সাংবাদিকদের থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিশোর-যুবকদের দিয়ে সাংবাদিকদের ভয় দেখানো হয়েছে। এমনকি শোনা গেছে ফাঁকা গুলির শব্দ! যারা এগুলো ঘটিয়েছে—তাদের পেছনে কারা? আমরা সবাই জানি, এসব পরিকল্পিত অপকর্মের পেছনে ইউপিডিএফের ছত্রছায়া ছাড়া কিছুই নেই। তাদের অভিযোগ—“মিডিয়া নাকি আগের বছর পাহাড়ের ঘটনা কাভার করেনি”—এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সত্যের পক্ষে যারা কথা বলে, তাদের মুখ বন্ধ করতে চায় এই সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী। আজ তারা সাংবাদিকদের আটকাচ্ছে, কাল হয়তো সাধারণ মানুষকেও থামিয়ে দেবে। 🛑 এটা কোনো সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, এটা সন্ত্রাসের ভয়াল রূপ! আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। প্রশাসনের প্রতি দাবি—এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত হোক, দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হোক। পাহাড়ে সন্ত্রাস নয়, শান্তি ও সত্যের জয় হোক।
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়িতে চাকমা সম্প্রদায়ের ফুল বিজুর সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে বাধার মুখে কাজ করতে পারেননি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা। আজ শনিবার ভোর থেকে জেলা সদরের চেঙ্গী নদীর বিভিন্ন অংশে এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিকরা।

সরেজমিনে জেলা সদরের চেঙ্গী নদীর খবংপুড়িয়া অংশে গিয়ে দেখা যায়, লাল কাপড়ে সংবাদকর্মীদের নো অ্যালাউ সহ নানা বার্তা দিয়ে ব্যানার ছাটানো হয়।

সূর্যোদয়ের পর থেকে অনেককে ফুল হাতে বাহারী পোষাকে এ ঘাটে আসতে দেখা গেলেও বেশ কিছু যুবক ও কিশোর তাদের নদীতে নামতে দেয়নি। যেখানে সংবাদকর্মী আছে সেখানে ফুল দিয়ে প্রার্থনা না করে সামনে যেতে শোনা যায়।

এ সময় নদীর পাড়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলির শব্দও শোনা যায়। এরপর সাধারণ পাহাড়ীরা খবংপুড়িয়া ঘাট ছেড়ে রিভার ভিউ পয়েন্ট ও চেঙ্গী সেতু অংশে গিয়ে ফুল বিজুর আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন।

কেন সাংবাদিকদের উৎসবের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়া হয়েছে তার উত্তর দেয়নি কেউ। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়, গেল বছর পাহাড়ে সংঘটিত ঘটনার কভারেজ দেয়নি মিডিয়া গুলো, তাই উৎসবে গণমাধ্যম বর্জন করা হচ্ছে।

কিন্তু সাংবাদিকদের দাবি সব ধরণের সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার করার পরও স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে এ অভিযোগ করা হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়া অনাকাঙ্ক্ষিত। উৎসবের খবর সংগ্রহে আমরা যেভাবে ছুটে এসেছি ঠিক অন্য সময় গুলোতেও আমরা ছিলাম। কাদের ইন্ধনে যুবক ও কিশোররা এমন আচরণ করছে তা খুঁজে দেখা দরকার।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা দাবি করেছেন, এই বাধা ও ভয়ভীতির পেছনে পার্বত্য এলাকায় সক্রিয় সংগঠন ইউপিডিএফের ছায়া স্পষ্ট। সংগঠনটির সরাসরি নির্দেশনা বা প্রশ্রয়ে এই কিশোর-যুবক দল সাংবাদিকদের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে এবং তাদের কার্যত অনুষ্ঠান কাভার করতে দেয়নি। এমনকি ফাঁকা গুলির ঘটনাও ইউপিডিএফের মদদপুষ্ট চক্রের মাধ্যমে পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কার্যক্রমেরই অংশ বলে অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিকদের মতে, এটি শুধুমাত্র সংবাদ সংগ্রহে বাধা নয়—এটি মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের ওপর সরাসরি হুমকি এবং ভীতিকর বার্তা।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর বর্ষ বিদায় ও বরণ উৎসবে বর্ণিল হয়ে উঠে এ জনপদ। যা দেখতে প্রতিবছর ছুটে আসেন হাজারও পর্যটক।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।