আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত চক্রের সন্ধানে টেকনাফে র্যাবের অভিযান
 
                 
নিউজ ডেস্ক
২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট নিজ দেশের সেনাবাহিনীর হাতে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়গ্রহন করা শরণার্থী শিবিরগুলোতে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ডাকাত দলের সন্ধান ও তাদের গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য টেকনাফের বাহারছড়া টইগ্যা পাহাড়সহ বেশ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ে ড্রোন ব্যবহার করে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার দিনব্যাপী এ অভিযান চালায় র্যাব-১৫।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ জানান, ডাকাতদের কয়েকটি আস্তানায় অভিযান চালালেও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। কারণ র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা ডাকাত হাকিম বাহিনীর অবস্থানের খবর রয়েছে তাদের কাছে। ডাকাতরা পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা গড়ে তুলে অপহরণ, খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধ করছে। এবারই প্রথম ড্রোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসীদের সন্ধানের প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে জানিয়ে আজিম আহমেদ বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ নিয়ন্ত্রনে প্রয়োজনে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করবে র্যাব।”
অভিযান পরিচালনাকালে র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল হাসান, পিএসসি, কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান, পিএসসি, স্কোয়াড কমান্ডার এডিশনাল এসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার, সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব (এক্স), বিএন, সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার এএসপি শাহ আলমস অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গা শিবিরকে ঘিরে সক্রিয় ডাকাতদের সংঘবদ্ধ একটি চক্র ডাকাতি ছাড়াও তারা অপহরণ, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া ডাকাত দলের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে রোহিঙ্গাদের বাসায় ঢুকে মালপত্র লুট ও অপহরণ করে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প সূত্র জানিয়েছে এসব অপরাধের মূলহোতা রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম। তাকে ধরতে এর আগেও বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
