কাশ্মীরে দুই অস্ত্রধারীকে গুলি করে হত্যার দাবি ভারতীয় সেনাবাহিনীর

কাশ্মীরে দুই অস্ত্রধারীকে গুলি করে হত্যার দাবি ভারতীয় সেনাবাহিনীর

কাশ্মীরে দুই অস্ত্রধারীকে গুলি করে হত্যার দাবি ভারতীয় সেনাবাহিনীর
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা (লক) পার হয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ভারতের সেনাবাহিনীর গুলিতে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়েছে। এর একদিন আগেই কাশ্মীরে এক ভয়াবহ হামলায় অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কর্পস বুধবার জানিয়েছে, ‘বন্দুকধারীদের সঙ্গে কাশ্মীরের বারামুল্লা এলাকায় ভারি গুলি বিনিময় হয়েছে। বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টরে ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় অস্ত্রধারীরা।

দুইজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে।’ সেনাবাহিনী আরো জানিয়েছে, তারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে।

আজ বুধবার সকালে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অফ কন্ট্রোল – এলওসি) পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে ২-৩ জন সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী। তবে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থায় থাকা ভারতীয় সেনা তাদের বাধা দিলে শুরু হয় গোলাগুলি।

সেনারা পাল্টা গুলি চালালে দুই বন্দুকধারী নিহত হয়।

সেনাবাহিনীর এক সদস্য জানিয়েছেন, পহেলগামের হামলার সঙ্গে এই অনুপ্রবেশের চেষ্টার কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্তজুড়ে আরো কঠোর নজরদারি শুরু হয়েছে।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর থেকেই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বিভক্ত।

উভয় দেশই এই অঞ্চলকে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের বলে দাবি করে। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার প্রায় ৫ লাখ সদস্য স্থায়ীভাবে মোতায়েন রয়েছে। দশকের পর দশক ধরে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো কাশ্মীরের স্বাধীনতা অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবিতে লড়াই করে আসছে।

গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পহেলগামে বন্দুকধারীরা অন্তত ২৬ জন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর নিরাপত্তা বাহিনী বড় ধরনের তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। এ হামলা ২০০০ সালের পর কাশ্মীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।

২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কাশ্মীরের আংশিক স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে সরাসরি দিল্লির নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে সংঘর্ষের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।