শিশুকে ঢাল করে দাবি আদায়! জাতীয় প্রেসক্লাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষোভ

শিশুকে ঢাল করে দাবি আদায়! জাতীয় প্রেসক্লাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষোভ

শিশুকে ঢাল করে দাবি আদায়! জাতীয় প্রেসক্লাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষোভ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

জাতীয় প্রেসক্লাবের মতো মর্যাদাপূর্ণ স্থানে রোববার (১৮ মে) বিকেলে এক নজিরবিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন ঘটনা ঘটেছে। চাকরিচ্যুত এক সাবেক সেনাসদস্য তার শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদলের গাড়ির সামনে বসে পড়েন এবং যানবাহন আটকে দেন। শিশুদের নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে এমন ‘মানবঢাল’ সৃষ্টির ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

সূত্র মতে, সকাল থেকে তিন দফা দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছিলেন কিছু চাকরিচ্যুত সেনা ও নৌ সদস্য। সকালে তারা সময় বেঁধে হুমকি দেন— নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের সঙ্গে আলাপ করতে সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি না এলে, তারা ‘লংমার্চে’ বের হবেন এবং জাহাঙ্গীর গেটে গিয়ে বিক্ষোভ করবেন।

পরে দুপুর ২টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল প্রেসক্লাবে এসে আলোচনায় বসেন এবং বিকেল ৪টায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমান আন্দোলনকারীদের জানান যে তাদের দাবি ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় নেওয়া হবে। তবে প্রতিনিধি দলের এই গঠনমূলক অবস্থানকেও প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনকারীরা আরও উগ্র ও অযৌক্তিক আচরণ শুরু করেন।

তারা প্রতিনিধি দলের যানবাহনের নিচে শুয়ে পড়ে এবং প্রেসক্লাবের গেট তালা মেরে বন্ধ করে দেয়, যা শুধু বেআইনি নয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি এক ধরনের অবমাননাও বটে। এরই মধ্যে এক ব্যক্তি কোলের শিশু সন্তানকে সামনে বসিয়ে মানবঢালের মতো ব্যবহার করে গাড়ি আটকে দেন—যা সমাজে চরম নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে।

দাবি মানার আশ্বাসেও সরছেন না চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা, গাড়ির সামনে শুয়ে পথরোধ

বিশ্লেষকদের মতে, কোনো দাবিই জাতীয় নিরাপত্তা ও নৈতিকতার সীমারেখা লঙ্ঘন করে আদায় করা যায় না। একজন অভিভাবক হিসেবে নিজের সন্তানকে রাজনৈতিক বা চাপ প্রয়োগের কাজে ব্যবহারের ঘটনা শুধু অনৈতিক নয়, এটি শিশু অধিকার আইনেরও লঙ্ঘন।

সাবেক সামরিক সদস্যদের এমন উগ্র আচরণে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—শৃঙ্খলার মধ্যে প্রশিক্ষিত এক বাহিনীর প্রাক্তন সদস্যদের কাছ থেকে এমন দায়িত্বহীন ও উগ্র আচরণ কীভাবে প্রত্যাশিত হতে পারে?

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনকারীদের মধ্যে কেউ কেউ পূর্বেও বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে হুমকি, গেট আটকে আন্দোলন ও সাধারণ নাগরিকদের দুর্ভোগে ফেলার বিষয়টিকে সরকার আইন ও শৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে।

অবিলম্বে এই ধরনের অসাংবিধানিক, অনৈতিক ও বেপরোয়া আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।