ফ্রান্সে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদে প্রবাসী গ্রুপের দেশবিরোধী তৎপরতা

ফ্রান্সে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদে প্রবাসী গ্রুপের দেশবিরোধী তৎপরতা

ফ্রান্সে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদে প্রবাসী গ্রুপের দেশবিরোধী তৎপরতা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামকেন্দ্রিক প্রবাসী একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংগঠন। ‘লা ভোয়া দে জুম্ম’ (Jumma Voice) নামের কথিত এই সংগঠন সম্প্রতি আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে একটি দেশবিরোধী কর্মসূচির আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চরম অপপ্রচার চালানো হয়।

বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবাপন্ন একটি গোষ্ঠীর অংশ হয়ে সংগঠনটি এই কর্মসূচির আয়োজন করে। আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা অতিরঞ্জিত অভিযোগ, বিকৃত তথ্য এবং উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে বক্তব্য রাখেন।

এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাকমা সার্কেল চিফের স্ত্রী ইয়ান ইয়ান। এছাড়াও সমাপ্তি চাকমা, দেওয়ান চাকমা এবং রেমি চাকমা অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ, আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি, সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বন্ধসহ একাধিক বিতর্কিত ও দেশবিরোধী দাবি উপস্থাপন করা হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দাবিগুলো মূলত একটি চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর বক্তব্যের প্রতিধ্বনি, যা বাংলাদেশের একতা, সার্বভৌমত্ব এবং আইনশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপের অংশ।

সমাবেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চিংমা খিয়াং-এর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। অথচ এই ঘটনা দেশের প্রচলিত আইনে তদন্তাধীন রয়েছে এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগ করা হয়, বান্দরবানের বম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে এবং তাদের ভূমি আন্দোলনের নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বাস্তবতা হলো, যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সহিংসতায় যুক্ত। এদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা কোনওভাবেই নিপীড়ন নয় বরং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার বৈধ প্রচেষ্টা।

সমাবেশে উপস্থাপিত দাবির মধ্যে আদিবাসী স্বীকৃতি, ভূমি ফেরত, শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের মতো কিছু দাবিকে সামনে এনে বাকি দেশবিরোধী এজেন্ডা আড়াল করার অপপ্রয়াস চালানো হয়।

বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয় হলো, এ ধরনের তৎপরতায় একজন ঐতিহ্যবাহী সার্কেল চিফের পরিবারের সম্পৃক্ততা। চাকমা সার্কেল চিফের স্ত্রী ইয়ান ইয়ান-এর একাধিক বিদেশ সফরের খরচের উৎস নিয়ে পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগণ প্রশ্ন তুলেছেন। সম্প্রতি সার্কেল চিফ নিজেও থাইল্যান্ড সফরের পর ঢাকায় অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক করছেন, যা এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।

শান্তিপ্রিয় পার্বত্য জনগণের দাবি, এই ধরনের প্রবাসী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর রাষ্ট্রীয় নজরদারি ও কূটনৈতিকভাবে জবাব দেওয়া জরুরি। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কার্যক্রম তদন্ত করে দেখা উচিত, যেন দেশের স্বার্থ বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া যায়।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।