বিভ্রান্তি ছড়ালেও পাশে পেলেন সকলের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক সেনাবাহিনীকে-ই

বিভ্রান্তি ছড়ালেও পাশে পেলেন সকলের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক সেনাবাহিনীকে-ই

বিভ্রান্তি ছড়ালেও পাশে পেলেন সকলের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক সেনাবাহিনীকে-ই
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

রাজনৈতিক বিভক্তি যতই তীব্র হোক না কেন, রাষ্ট্রের নিরপেক্ষতম একটি প্রতিষ্ঠান আজ আবারও প্রমাণ করেছে—তারা দল-মতের ঊর্ধ্বে। গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে বর্বরোচিত হামলার সময় সেনাবাহিনী যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলটির শীর্ষ নেতাদের রক্ষা করেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

বিভ্রান্তি ছড়ালেও পাশে পেলেন সকলের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক সেনাবাহিনীকে-ই

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গেছে, আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ারে (এপিসি) করে এনসিপির আহ্বায়ক ও মুখ্য নেতাদের সহিংস পরিস্থিতির মুখ থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে সেনাবাহিনী। তারা এমন একটি দলকে রক্ষা করেছে, যারা অতীতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে নিয়ে প্রকাশ্যে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে অশালীন ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনী কোনো জবাব দেয়নি—কারণ তাদের দায়িত্ব প্রতিশোধ নয়, রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল সার্বভৌমত্বের প্রহরী-ই নয়, বরং জাতীয় সংকটময় মুহূর্তে সর্বস্তরের নাগরিকের নির্ভরতার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। রাজপথে যখন রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে, প্রশাসন যখন চাপে বিপর্যস্ত হয়, তখন সেনাবাহিনীই সামনে এসে শৃঙ্খলার ভার তুলে নেয় এবং প্রতিটি জীবন রক্ষার জন্য নিজের জীবন বাজি রাখে। রাজনৈতিক মতভেদ, অতীতের বিতর্ক বা যেকোনো বিভ্রান্তি তাদের দায়িত্ববোধকে কখনো ছুঁতে পারে না। সেনাবাহিনী জানে—তাদের অস্তিত্ব দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। গোপালগঞ্জের রক্তঝরা এই সহিংসতায় সেনাবাহিনী যেভাবে নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে, তা শুধু একটি ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়—বরং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রচিন্তার এক অবিচল নীতির বাস্তব বহিঃপ্রকাশ।

-সম্পাদকীয় বিভাগ, সাউথইস্ট এশিয়া জার্নাল।