গুইমারায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলে উত্তেজনা, নেপথ্যে ইউপিডিএফের ষড়যন্ত্র

গুইমারায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলে উত্তেজনা, নেপথ্যে ইউপিডিএফের ষড়যন্ত্র

গুইমারায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ অভিযোগ তুলে উত্তেজনা, নেপথ্যে ইউপিডিএফের ষড়যন্ত্র
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ওঠায় স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে একাধিক সূত্র দাবি করছে, এটি প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ, যার উদ্দেশ্য একজন জনপ্রিয় শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করা।

জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই অষ্টম শ্রেণির এক পাহাড়ি ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং তার অভিভাবকদের প্রভাবিত করে ২৮ জুলাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করানো হয়। এরপর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চাপে পড়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের আশ্বাস দেন।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনাটি কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই স্কুল কর্তৃপক্ষ চাপের মুখে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ আছে, ইউপিডিএফ এই ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যুতে রূপ দিয়ে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করে এবং তাদের সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদেরও বিদ্যালয়ে নিয়ে এসে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলে।

গুইমারায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ অভিযোগ তুলে উত্তেজনা, নেপথ্যে ইউপিডিএফের ষড়যন্ত্র

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নিরাপত্তা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে জসিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে গুইমারা বিগ্রেড সদর দপ্তরে নিয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাটি জানতে পেরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে সমঝোতার উদ্যোগ নিলেও ইউপিডিএফ-এর পক্ষ থেকে এ প্রচেষ্টায় বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা মনে করছেন, ইউপিডিএফ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের ভেতরে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে চায় এবং সেই লক্ষ্যেই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সোহেল রানার বিরুদ্ধে অনুরূপ অভিযোগ তুলে তাকে গণপিটুনিতে হত্যার অভিযোগ রয়েছে ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে।

একাধিক অভিভাবক, সহকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি শিক্ষক জসিম উদ্দিনের সততা ও ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন।

তারা বলেন, “আমরা কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে চাই না, কিন্তু ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে একজন সম্মানিত শিক্ষককে এভাবে হেয় করা অনভিপ্রেত। সঠিক তদন্ত ও প্রমাণ ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ সমাজে বিভাজন তৈরি করে।”

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও পাহাড়ে শিক্ষক, পেশাজীবী ও সাধারণ বাঙালিদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত, সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক তৎপরতা রোধে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে এবং কোনো পক্ষের প্ররোচনায় না পড়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চলছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।