খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে গঠিত হলো অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবল দল
 
                 
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামের মেয়েরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনে অসাধারণ সাফল্যের সাক্ষর রেখে চলেছেন। বিশেষ করে ফুটবল খেলায় একের পর এক সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে তাঁরা বিদেশের মাটিতে তুলে ধরছেন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। এমন প্রেক্ষাপটে পাহাড়ের প্রতিভাবান মেয়েদের ক্রীড়াক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে ব্যতিক্রমধর্মী এক উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর ২০৩ পদািতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সদর জোনের ব্যবস্থাপনায় গঠিত হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবল দল, যেখানে স্থানীয় আগ্রহী মেয়েরা পাচ্ছেন জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ। দল গঠনের শুরু থেকেই অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা, খেলাধুলার পোশাক, চিকিৎসাসেবা ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।
পাহাড়ের মেয়েরা যেভাবে মাঠে নৈপুণ্য ও দৃঢ় মনোবলের পরিচয় দিচ্ছেন, তাতে ফুটবল শুধু একটি খেলা নয়, বরং সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে। সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ তাই শুধু ক্রীড়াক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বাড়ানো নয়, বরং এটি সামাজিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের একটি উদাহরণ।
স্থানীয় মানুষ ও অভিভাবকদের মতে, এই দল গঠনের মাধ্যমে পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান মেয়েদের খুঁজে বের করে সঠিক প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের তারকায় রূপান্তর সম্ভব।
সেনা কর্মকর্তারা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু একটি ফুটবল দল গঠন নয়; বরং এই দলের মধ্য থেকে ভবিষ্যতের জাতীয় দলের জন্য সম্ভাবনাময়ী খেলোয়াড় তৈরি করা। আমরা চাই, খাগড়াছড়ির মেয়েরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের হয়ে লড়ুক।”
এই উদ্যোগকে সফল করতে পাশে দাঁড়িয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তাঁরা আর্থিক ও নৈতিক সহায়তা দিয়ে এ মহতী কর্মকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খেলাধুলার মাধ্যমে পার্বত্য তরুণীরা শুধু ক্রীড়াক্ষেত্রেই নয়, সমাজেও হয়ে উঠতে পারে বদলের প্রতীক। একসঙ্গে খেলে বেড়ে উঠছে সম্প্রীতির বন্ধন, যা পার্বত্য অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় সমাজকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বলছেন, “সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ কেবল একটি ফুটবল দলের সূচনা নয়, এটি একটি নতুন প্রজন্মকে আত্মবিশ্বাসী ও নেতৃত্বদানে সক্ষম নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সূচনা।”
খাগড়াছড়ির মাটি থেকে উঠে আসা এই ফুটবলাররাই একদিন জাতীয় দলের গর্ব হয়ে উঠবে—এমনই প্রত্যাশা এখন পুরো পার্বত্যবাসীর।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
