মায়ানমারে জান্তার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনের সমালোচনা করলে কারাদণ্ড

মায়ানমারে জান্তার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনের সমালোচনা করলে কারাদণ্ড

মায়ানমারে জান্তার বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনের সমালোচনা করলে কারাদণ্ড
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ঘোষিত আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা বা প্রতিবাদকারীদের জন্য কারাদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে বলে বুধবার ঘোষণা করেছে মায়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। এ নির্বাচনকে ইতিমধ্যেই বিরোধী দলগুলো বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই দেশটি গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন শান্তির পথে একটি পদক্ষেপ বলে দাবি করছে জান্তা। তবে উৎখাত হওয়া গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকসহ বিরোধী দলগুলো এ নির্বাচনকে জান্তার শাসন বৈধতা দেওয়ার একটি কৌশল হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদপত্র দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মায়ানমার জানিয়েছে, ‘বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাধা-বিঘ্ন বা ধ্বংস থেকে রক্ষার জন্য আইন মঙ্গলবার কার্যকর করা হয়েছে।’ প্রকাশিত ১৪ পৃষ্ঠার এ আইনে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কোনো অংশ ধ্বংসের উদ্দেশ্যে বক্তব্য, সংগঠন, উসকানি, প্রতিবাদ বা লিফলেট বিতরণ নিষিদ্ধ।’

এ আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দোষী সাব্যস্তদের তিন থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে, আর যদি দলবদ্ধভাবে অপরাধ সংঘটিত হয় তবে শাস্তির মেয়াদ ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। নির্বাচনকেন্দ্র, ব্যালট পেপার নষ্ট করা কিংবা ভোটার, প্রার্থী ও নির্বাচনী কর্মীদের ভয় দেখানো বা আঘাত করাকেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছরের কারাদণ্ড।

আইনে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে কাউকে হত্যা করা হলে ‘অপরাধে জড়িত সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে’। মায়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জান্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে।

যার ফলে ২০২৩ সালে যেসব সরকারি কর্মী নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জনগণনার কাজ শুরু করেছিলেন, তারা প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েন। অস্থায়ী ফলাফলে দেখা গেছে, দেশটির পাঁচ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় এক কোটি ৯০ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি, যার পেছনে একটি বড় কারণ ছিল ‘গুরুতর নিরাপত্তাজনিত প্রতিবন্ধকতা’। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, যেসব জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও অভ্যুত্থানবিরোধী গেরিলা দল জান্তার সঙ্গে লড়াই করছে, তারা বিরোধিতার স্পষ্ট বার্তা দিতে নির্বাচনের আগে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে।

গত মাসে এ নির্বাচনী পরিকল্পনাকে ‘প্রতারণা’ হিসেবে প্রত্যাখ্যান করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক টম অ্যানড্রুজ বলেন, ‘জান্তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে একটি কৃত্রিম নির্বাচনী প্রক্রিয়া তৈরি করে, একটি ভুয়া বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।