পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি-আধিপত্যের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান জরুরি: ব্রিগেডিয়ার নাজিম
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও চরমপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা নিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দিয়েছেন সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফ ও জেএসএসসহ বিভিন্ন দল দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘাতে লিপ্ত হয়ে আসছে। “এটা নতুন কিছু নয়। সেনাবাহিনী সবসময় চেষ্টা করছে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে,”।
তবে এ ধরনের সহিংসতা দমনে শুধু সেনাবাহিনী নয়, অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থাকেও আরও কার্যকরভাবে এগিয়ে আসার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম।
“সেনাবাহিনী একাই পার্বত্য চট্টগ্রামের স্টেকহোল্ডার নয়। বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলেই এই পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব,” তিনি বলেন।
কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) ও মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, “তারা একই গোত্রীয় মানুষ, মানসিকতাও প্রায় একই। ফলে কেএনএফের কাছে আরাকান আর্মির কাছ থেকে অস্ত্র আসা অস্বাভাবিক নয়।”
তবে কেএনএফ বর্তমানে নাজুক অবস্থায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
“তারা কোনো অবস্থাতেই আধিপত্য বিস্তার করতে পারছে না। সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে এবং আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সম্মিলিতভাবে কাজ করলে কেএনএফকে সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব এবং সেটা অবশ্যই প্রয়োজন।”
সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।