লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় ড্রোনের অনুপ্রবেশে উত্তেজনা, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
![]()
নিউজ ডেস্ক
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসুতী সীমান্তে ভারতীয় ড্রোনের বারবার অনুপ্রবেশ নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ) ফুলকা ডাবরি এলাকা থেকে ৮২৯ নম্বর মেইন পিলার অতিক্রম করে ড্রোন পাঠিয়েছে, যা একাধিকবার বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ আকাশে একটি ড্রোন দেখতে পান তারা। মুহূর্তেই সেটি বাংলাদেশের দিকে ঢুকে আবার দ্রুত ফিরে যায়। এমন ঘটনা বারবার ঘটতে দেখা যায়, যা সীমান্তবাসীর মধ্যে নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ড্রোনের অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির টহল দল উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ধরণের পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমি জানি না, আমার বার্তা কতদূর পৌঁছাবে, তবে আমাদের দেশের উপর ভারতীয় ড্রোন ক্যামেরা যেন আর না আসে—সেই দাবি করছি।”
এছাড়া সীমান্তের জিরো লাইনের মাত্র ৫০ গজের মধ্যে ভারত বৈদ্যুতিক ল্যাম্পপোস্ট বসিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এসব পোস্ট থেকে তীব্র আলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ায় রাতের বেলায় গ্রামবাসীদের জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি ক্ষেতের ফসলও ক্ষতির মুখে পড়ছে। তাদের অভিযোগ, এটি বিএসএফ-এর জন্য সুবিধাজনক হলেও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে।
পাটগ্রাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তবিবর রহমান বলেন, “বিজিবি এই বিষয়ে আগেই অবগত ছিল। আগের ক্যাম্প কমান্ডারের কাছ থেকেই জেনেছিলাম ভারত ড্রোন পাঠাচ্ছে।”
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, “আমরা ভারতীয় ড্রোন সীমান্তে ওড়ানোর বিষয়টি জেনেছি এবং তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।”
এ বিষয়ে ৬১ বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “বিষয়টি আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।”
উল্লেখ্য, সীমান্তে ভারতীয় ড্রোনের এ ধরনের অবৈধ প্রবেশ আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক রীতিনীতিরও পরিপন্থী। বিজিবি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।