এবার জম্মু-কাশ্মীরে ‘অপারেশন আখাল’ শুরু করলো ভারত, নিহত ১
![]()
নিউজ ডেস্ক
‘অপারেশন মহাদেব’ শেষ হওয়ার মাত্র ৪ দিনের মধ্যে এবার জম্মু-কাশ্মীরে নতুন যৌথ অভিযান শুরু করেছে ভারত। অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন আখাল’। শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার আখালের বনাঞ্চলে একটি ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
এ সময় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পর তল্লাশি অভিযানটি সংঘর্ষে পরিণত হয়। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে একজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
সেনাবাহিনীর চিনার কর্পস শনিবার সকালে এক এক্স বার্তায় বলেছে, ‘রাতভর থেমে থেমে তীব্র গুলিবর্ষণ অব্যাহত ছিল। সতর্ক সেনারা ক্যালিব্রেটেড গুলি চালিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং যোগাযোগ বজায় রেখে অবরোধ আরও শক্ত করে। এখনও পর্যন্ত একজন সন্ত্রাসীকে নিরাপত্তা বাহিনী নিষ্ক্রিয় করেছে। অভিযান (আখাল) অব্যাহত রয়েছে।’
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলার জবাবে ‘অপারেশন মহাদেব’-এর অধীনে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হামলাকারী তিন সন্ত্রাসী নিহতের দাবির কয়েকদিন পর এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। গত ২৮ জুলাই দাচিগাম জাতীয় উদ্যানের কাছে হারওয়ান এলাকার মুলনারে এক সংঘর্ষে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সুলেমান ওরফে আসিফকে তার দুই সহযোগীসহ হত্যা করে ভারতের যৌথ বাহিনী।
এই অভিযানে নিহত অন্য সন্ত্রাসীদের নাম জিবরান ও হামজা আফগানি। জিবরান গত বছর সোনামার্গ টানেল হামলায় জড়িত ছিল। পেহেলগামে বৈসারান তৃণভূমিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হয়, যার বেশিরভাগই ছিল পর্যটক। এর ফলে ৭ মে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী অবকাঠামোর বিরুদ্ধে অপারেশন সিন্দুর শুরু করে সশস্ত্র বাহিনী।
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার পুঞ্চের নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে আরও দুই ‘সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে’ হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই সন্ত্রাসী পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ করেছিল এবং ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশের পরপরই তাদের হত্যা করা হয়।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।