ভারতের ত্রিপুরা থেকে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস সন্ত্রাসীদের বিতাড়নের দাবি

ভারতের ত্রিপুরা থেকে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস সন্ত্রাসীদের বিতাড়নের দাবি

ভারতের ত্রিপুরা থেকে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস সন্ত্রাসীদের বিতাড়নের দাবি
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতের ত্রিপুরার গোমতী জেলার আমরপুরে গতকাল মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। ‘আমরপুর উপ-সংমন্ডল সচেতন নাগরিক ফোরাম’-এর ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচি শেষে মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহার উদ্দেশে স্মারকলিপি দেন তারা।

স্মারকলিপিতে অবিলম্বে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) গ্রুপের সন্ত্রাসীদের ত্রিপুরা থেকে বিতাড়নের দাবি জানানো হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ত্রিপুরায় দীর্ঘদিনের গুরুতর সমস্যা হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিতভাবে এই অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে জেএসএস (সন্তু)। সংগঠনের প্রকাশ্য নেতাকর্মীরা ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় বসতি গড়ে তুলছে, আর সশস্ত্র ক্যাডাররা সীমান্তবর্তী এলাকায় শিবির স্থাপন করছে। গত ৩ জুন আগরতলায় ১৩ জন জেএসএস সদস্য গ্রেপ্তার হন, যারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের সময় আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

ভারতের ত্রিপুরা থেকে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস সন্ত্রাসীদের বিতাড়নের দাবি

প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করেন, জেএসএস (সন্তু) মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, গরু পাচার এবং বার্মিজ সিগারেট পাচারের সঙ্গে জড়িত। এ সংগঠন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইসহ বাংলাদেশ থেকে আর্থিক ও রাজনৈতিক সহায়তা পাচ্ছে। বর্তমানে গন্ডাছড়া উপ-সংমন্ডলের নারায়ণপুর/মগপাড়া, লক্ষীদার পাড়া, করোল্ল্যাছড়া, কামালাখা, কঞ্চনপুর উপ-সংমন্ডলের মিধিঙ্গেচড়া এবং আমরপুর সংমন্ডলের সুশেনপাড়া (বাঘেছড়া) এলাকায় তাদের সশস্ত্র শিবির রয়েছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় নাগরিকরা গেলে জেএসএস (সন্তু) সদস্যরা কর দাবি করে এবং হুমকি দিয়ে যেকোনো কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়। এমনকি ত্রিপুরার ভেতরে ভারতীয় নাগরিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শনেও স্থানীয় দালালদের ব্যবহার করছে সংগঠনটি।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

প্রতিবাদকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অবিলম্বে সীমান্ত সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা, জেএসএস (সন্তু) সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বহিষ্কার, এবং তাদের সকল শিবির ধ্বংসের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক জেএসএস (সন্তু) দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।