মিয়ানমারের পুরো রাখাইন দখলে মরিয়া বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের পুরো রাখাইন দখলে মরিয়া বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের পুরো রাখাইন দখলে মরিয়া বিদ্রোহীরা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি (এএ) বিদ্রোহীদের দ্রুত অগ্রযাত্রা দেশটির গৃহযুদ্ধ ও আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করছে।

ইতোমধ্যেই রাখাইনের ১৭টির মধ্যে ১৪টি টাউনশিপ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, প্রদেশটির রাজধানী সিত্তে এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিয়াউকফিউসহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাকি অঞ্চল দখলের শপথ নিয়েছে বিদ্রোহীরা। কিয়াউকফিউতে চীনের নির্মিত গভীর সমুদ্রবন্দর ও তেল-গ্যাসের পাইপলাইন রয়েছে।

এদিকে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই রাখাইনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে ২০ লাখের বেশি মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির হিসাবে, রাখাইনের অর্ধেকেরও বেশি পরিবার ন্যূনতম খাবারের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বিমান হামলা জান্তা সেনাদের প্রধান অস্ত্র। গত দেড় বছরে রাখাইনে এসব হামলায় ৯৬ শিশুসহ অন্তত ৪০২ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদিকে উভয় পক্ষই জোর করে যুদ্ধক্ষেত্রে নামাচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের। বিদ্রোহীরা ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী পুরুষ ও ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী নারীদের জোর করে অস্ত্র ধরাচ্ছে। এ সময় নতুন করে বাধ্যতামূলকভাবে প্রায় ৭০ হাজার সৈন্য নিয়োগ দিয়েছে জান্তা বাহিনী।

এদিকে আবার রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে। যদিও তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করছে। অন্যদিকে আরাকান আর্মির অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের অস্ত্র সরবরাহ করে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে জান্তা সরকার।

চীন ও ভারতের কৌশলগত বিনিয়োগ থাকায় এ সংঘাত আঞ্চলিক রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, রাখাইনের বিস্তীর্ণ উপকূল দখল করতে পারলে আরাকান আর্মি শুধু মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বিদ্রোহী বাহিনী হিসেবেই নয়, বরং আঞ্চলিক শক্তি হিসেবেও আবির্ভূত হতে পারে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।