মিয়ানমারের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অপহৃত ১৬ কর্মচারীকে মুক্তি দিয়েছে আরাকান আর্মি - Southeast Asia Journal

মিয়ানমারের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অপহৃত ১৬ কর্মচারীকে মুক্তি দিয়েছে আরাকান আর্মি

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্ক

সম্প্রতি মিয়ানমারের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অপহৃত ১৬ কর্মচারীকে মুক্তি দিয়েছে রাখাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। সম্প্রতি একটি ফেরি থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছিল।

এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি জানিয়েছে, বন্দিদের কোনও সেনা সংশ্লিষ্টতা না থাকার ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়ে বুথিডংয়ে থায় কান গ্রামের স্থানীয় নেতা ও প্রশাসকদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরাকান আর্মি বলেছে, রাখাইনে যেতে হলে তাদের জানাতে হবে। এর আগে সেখানকার সড়ক ও জলপথে চলাচলকারী পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলোকেও হুমকি দিয়েছিল তারা। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, না জানিয়ে রাখাইনে প্রবেশ করলে তা ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে।

এদিকে মুক্তির খবর নিশ্চিত করেছেন মংডুর জেলা প্রশাসক উ সো অং। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গ্রাম প্রশাসককে বলেছি তাদের যেন বুথিডং শহরে নিয়ে যাওয়া হয়।’ অন্যদিকে সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন জানান, ওই ১৬ জন পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সড়ক যোগাযোগ প্রশাসন দফতরে কাজ করতেন। তারা সবাই গাড়িচালক।

এর আগে, গত ২৩ ডিসেম্বর সেনা-সমর্থিত টেলিকম অপারেটর মাইটেলের পরিচালককে তার গাড়িচালকসহ অপহরণ করেছিল আরাকান আর্মি। এরপর ২৫ ডিসেম্বর বুথিডং এনএলডির চেয়ারম্যান উ ইয়ে থিন অপহৃত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আরাকান আর্মি হুঁশিয়ার করে যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে চলমান উত্তেজনার কারণে তাদের হাতে আটক বন্দিদের নিরাপত্তা দেওয়া আর সম্ভব নয়। তাদের মুখপাত্র খাইং থুকা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে কেবল বন্দিরা নয়, পুরো রাখাইন সম্প্রদায় আক্রান্ত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ইতিহাস আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণসহ রাখাইনে সার্বভৌম কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রশ্নকে সামনে রেখে প্রচারণা চালায় আরাকান আর্মি। রাখাইনে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যের তথ্য বারবার সামনে আনার মধ্য দিয়ে সেখানকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলছে তারা। ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত চলছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত শতাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।