খাগড়াছড়িতে সেনা অভিযানকে ঘিরে ইউপিডিএফ কর্তৃক অপপ্রচারের অভিযোগ
 
                 
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা ও মানিকছড়ি উপজেলার সীমান্ত তবলাপাড়া এলাকায় গত ৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর অভিযানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফ কর্তৃক অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে।
সেনাবাহিনী জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিন্ধুকছড়ি জোনের সদস্যরা সিভিল পোশাকে এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় ইউপিডিএফের প্ররোচনায় স্থানীয় গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমে সেনাদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সেনাবাহিনী বাধ্য হয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে জোন অধিনায়ক ও গুইমারা থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান, অভিযানে অংশ নেওয়া ছয়জনই সেনা সদস্য ছিলেন।
ঘটনার পর থেকে ইউপিডিএফ জেলা জুড়ে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী।

আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সেনাবাহিনীর সিন্দুকছড়ি জোনে মাসিক মতবিনিময় সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ইসমাইল শামস আজিজি।
সভায় মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আকতার, গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী এবং মানিকছড়ি থানার ওসি মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রশাসনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সভায় উপজাতি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
স্থানীয় এক মারমা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি বলেন, “আমরা ইউপিডিএফের মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে কিছু বললে সমস্যা, আবার সেনাবাহিনীর পক্ষ নিলেও ঝামেলায় পড়তে হয়। আসলে সেদিন সেনারা সিভিলে আসায় ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল।”
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
