দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় থাকবেন আনসার-ভিডিপির দুই লাখ সদস্য
![]()
নিউজ ডেস্ক
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ৯ দিন সারা দেশের ৩১ হাজার ৫৭৬টি পূজামণ্ডপে দুই লক্ষাধিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাহিনী জানিয়েছে, পূজামণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ভিত্তিতে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আটজন, গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে ছয়জন এবং সাধারণ পূজামণ্ডপে ছয়জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি দেশের ৬৪ জেলায় ৯২টি ব্যাটালিয়ন আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম মোতায়েন থাকবে, যারা নিয়মিত টহল পরিচালনা ছাড়াও যেকোনও আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় গৃহীত এই নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সদস্যদের দিকনির্দেশনা দেন। তিনি দায়িত্ব পালনে সতর্কতা, আন্তরিকতা ও জনগণবান্ধব মনোভাব বজায় রাখার ওপর জোর দেন।
নিরাপত্তা কার্যক্রমে প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপস’-এর মাধ্যমে মোতায়েনকৃত সদস্যরা দুর্ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট করবেন। এসব তথ্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আনসার-ভিডিপি জানিয়েছে, বাহিনীর সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় প্রায় দুই লাখ তরুণকে ইতোমধ্যে গণপ্রতিরক্ষার নতুন ধারায় প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। নতুন এভিএমআইএস ও এসটিডিএম সফটওয়্যারের মাধ্যমে সদস্যদের নিবন্ধন, দায়িত্ব বণ্টন এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে গুজব প্রতিরোধ, ঘটনা পর্যবেক্ষণ ও ইনসিডেন্ট রিপোর্ট কার্যক্রমও চালু করা হয়েছে।
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সর্বদা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় সুসমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে পূজা উৎসব শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপন সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী। একইসঙ্গে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দেশের সব নাগরিকের সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন।”
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।