চাকমাদের বিরুদ্ধে বাঙ্গালিদের গরু-মহিষ ধরে খেয়ে ফেলার অভিযোগে উখিয়ায় উত্তেজনা
![]()
নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজারের উখিয়ার তেলখোলা গ্রামে স্থানীয় বাঙালি ও চাকমা-তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্প্রতি চাকমাদের বিরুদ্ধে পাহাড়ে চড়তে যাওয়া গরু-মহিষ ধরে খেয়ে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাঙালিরা।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক বাঙালি পরিবার অভিযোগ করে, কয়েকজন চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা ব্যক্তি একটি মহিষের পা কেটে নেন। এর আগেও গরু-মহিষ চুরি ও জবাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাদের।
অন্যদিকে অভিযুক্ত চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রভাবশালী বাঙালি ও ভাড়াটে রোহিঙ্গারা গ্রামে হামলা চালায়। এতে ফসলি জমি, ধানখেত, সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, স্বর্ণালংকার, বৌদ্ধ আসনসহ নানা জিনিসপত্র ভাঙচুর-লুটপাট হয়। পাশাপাশি গরু-ছাগল চুরি ও কয়েকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করার ঘটনাও ঘটে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ লাখ টাকা।
স্থানীয় বাঙালিরা আরও অভিযোগ করেন, পাহাড়ের পাদদেশে চাকমারা অস্ত্র মজুত রেখে যুবকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তবে চাকমা প্রতিনিধিরা এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পালংখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দিন বলেন, “মহিষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।”
উখিয়া থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানান, উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উদ্যোগে দুই পক্ষকে সমঝোতায় আনার চেষ্টা করা হবে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।