সেনাবাহিনীর হাত ধরে সাজেক জুনিয়র হাইস্কুলের অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন মাইলফলক

সেনাবাহিনীর হাত ধরে সাজেক জুনিয়র হাইস্কুলের অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন মাইলফলক

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩৬ নং সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তায় বরাবরের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

“শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন” মূলনীতি ধারণ করে কাজ করা এই বাহিনীর ধারাবাহিক উদ্যোগের সর্বশেষ সংযোজন হলো সাজেক জুনিয়র হাইস্কুলের ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন—যা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আওতাধীন বাঘাইহাট জোন অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মেজর এম এম জিল্লুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্কুলটিতে একাধিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।

এর মধ্যে রয়েছে স্কুলের প্রধান গেট নির্মাণ, শহীদ মিনার নির্মাণ, সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন, জাতীয় পতাকার বেজ নির্মাণ, নতুন টয়লেট নির্মাণ ও পুরাতন টয়লেট সংস্কার, ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপন, ২০০০ লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন পানির ট্যাংক ও পানি বিশুদ্ধকরণ মেশিন স্থাপন, সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ক্লাসরুমের ফ্লোর সংস্কার এবং লাইব্রেরি উন্নয়ন।

সেনাবাহিনীর হাত ধরে সাজেক জুনিয়র হাইস্কুলের অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন মাইলফলক

এসব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় স্কুলটির সামগ্রিক পরিবেশ আগের তুলনায় হয়ে উঠেছে আরও উন্নত, নিরাপদ ও উপযোগী।

বাঘাইহাট জোনের উদ্যোগে পরিচালিত এসব মাইলফলক-এ সাজেকের শিক্ষার্থীদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশেও নতুন গতি এসেছে। সেনাবাহিনীর সৌহার্দ্যপূর্ণ উপস্থিতি স্কুলে ও আশপাশে এক স্থিতিশীল ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়—এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে, আর অভিভাবকদের মধ্যেও ফিরেছে আস্থা। পাহাড়ি এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবে রূপ নেওয়ায় তারা সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সেনাবাহিনীর এ ধরনের উদ্যোগ তরুণদের বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখছে এবং সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জোরদার করছে।

একজন প্রবীণ পাহাড়ি বাসিন্দা জানান, “আগে আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে আগ্রহ পেত না। এখন সেনাবাহিনীর উন্নয়নের ফলে স্কুলে পড়াশোনা, নিরাপত্তা ও পরিবেশ—সবকিছুই অনেক ভালো হয়েছে।”

জোন অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মেজর এম এম জিল্লুর রহমান বলেন, পাহাড়ি মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও এ ধরনের উন্নয়ন ও মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন পরিচালিত এসব উদ্যোগ সাজেকের শিক্ষা পরিবেশে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে, তা পাহাড়ের মানুষের কাছে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশ্বাস হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *