সৌদিতে কর্মরত ৪২ হাজার বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে চায় সৌদি আরব

নিউজ ডেস্ক
প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে শ্রমিক ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ করা প্রায় ৪২ হাজার রোহিঙ্গার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাদেরকে বাংলাদেশেই ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার নিজেদের অবস্থানের কথা এখনো পরিষ্কার করে কিছুই জানায়নি।
সৌদি সরকার বাংলাদেশের পার্সপোর্টধারী ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে চিহ্নিত করে তাদের ফেরত নেয়ার তাগিদ দিয়ে বাংলাদেশকে চিঠিও দিয়েছে সম্প্রতি। এমন তাগিদ দেয়ার ক্ষেত্রে সৌদি সরকার এই রোহিঙ্গাদের ‘বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহারের বিষয়টি’ উল্লেখ করেছে বলে সূত্রগুলো জানাচ্ছে।
বাংলাদেশী কর্মকর্তারা বলছেন, সৌদি আরবে থাকা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ নিতে চায় না। কিন্তু সেটা করতে গেলে যদি বাংলাদেশের শ্রমবাজারে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে – সে কথা ভেবে সরকার সুনির্দিষ্ট কোন অবস্থান তুলে ধরতে পারছে না। তারা বলছেন, ১২ই ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে ঢাকায় দুই দেশের যৌথ কমিশনের দু’দিনব্যাপী বৈঠকে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে আলোচনায় আনা হতে পারে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, অন্য কোনো দেশ যদি তাদের দেশে থাকা রোহিঙ্গাদের কাউকে ফেরত পাঠাতে চায়, তাহলে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো উচিত বলে তিনি মনে করেন। এ নিয়ে সৌদি সরকার বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বলেও জানান তিনি।
সূত্র মতে, ৯০-এর দশকের শেষে তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা সৌদি আরবে গিয়েছিল। তাদের একটি বড় অংশকে সৌদি সরকার শরণার্থী হিসেবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালে এবং তার পরে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে যে রোহিঙ্গারা সেখানে গেছে এবং সেখানে কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অনিয়মিত হয়ে পড়েছে, তাদের নিয়েই মূলত মাথাব্যথা সৌদি সরকারের।