রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে কোটা বিরোধী ঐক্যজোটের কমপ্লিট শাটডাউন

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে কোটা বিরোধী ঐক্যজোটের কমপ্লিট শাটডাউন

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে কোটা বিরোধী ঐক্যজোটের কমপ্লিট শাটডাউন
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কোটা বৈষম্য, প্রশ্ন জালিয়াতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন কোটা বিরোধী ঐক্যজোট, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিক কমিটি। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিষদের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবি, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যমূলক কোটা কাঠামো বজায় রাখা হয়েছে, এতে মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি প্রশ্নফাঁস, ফল প্রকাশে জালিয়াতি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও তোলেন তাঁরা।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে কোটা বিরোধী ঐক্যজোটের কমপ্লিট শাটডাউন

গত শনিবার রাতে আন্দোলনকারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউনের ঘোষণা দেন। একই দাবিতে গত বৃহস্পতিবার ৩৬ ঘণ্টার হরতাল আহবান করা হয়। সেদিন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা আসার পর ছয় দফা দাবি জানিয়ে হরতাল প্রত্যাহার করা হয়।

এর আগে শনিবার দুপুরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি জানান, নিয়োগ পদ্ধতি জেলা পরিষদের আইন অনুযায়ী হবে, নাকি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী—সে বিষয়ে জানতে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান খানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিখিত পরীক্ষা স্থগিত ও পুনঃ-নির্ধারণসহ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্তগুলো রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এককভাবে নিয়েছে। এতে বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের ‘ধোঁয়াশা’ তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে কোটা বিরোধী ঐক্যজোটের কমপ্লিট শাটডাউন

আন্দোলনকারীদের ছয় দফা দাবির হল-৯৩% মেধা ও ৭% কোটা ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করা, প্রশ্নপত্র কেন্দ্রীয় ভাবে প্রণয়ন, প্রশ্ন তৈরির পর সরকারি ট্রেজারিতে সংরক্ষণ, জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে খাতা মূল্যায়ন, নিয়োগের আগে উপজেলা কোটা পৃথক প্রকাশ, প্রার্থীর নাম, রোল ও ঠিকানা প্রকাশ, পাশাপাশি বাঙালি ও তফসিল ভুক্ত উপজাতীয় তালিকা আলাদা প্রকাশ।

আন্দোলনকারী মো. জনি, মো. ইমরান রুবেল, ইফতেখার রুবেল ও রাকিব হাসানসহ অন্যরা বলেন, মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন নিয়োগ পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা চাই।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *