দিল্লিতে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযানে ২৬২ কোটি টাকার মেথামফেটামিন জব্দ
![]()
নিউজ ডেস্ক
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সিন্থেটিক মাদক চক্রের বিরুদ্ধে এক বড় অভিযান চালিয়ে ৩২৯ কেজি মেথামফেটামিন জব্দ করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) ও দিল্লি পুলিশ স্পেশাল সেল। উদ্ধারকৃত মাদকের বাজারমূল্য প্রায় ২৬২ কোটি টাকা। অভিযানে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযানটি “অপারেশন ক্রিস্টাল ফোর্ট্রেস” নামে পরিচিত এবং এটি গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক ছিল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই চক্রের সঙ্গে একটি বিদেশি মূলহাতের সংযোগ রয়েছে, যিনি গত বছর দিল্লিতে ৮৩ কেজি কোকেন জব্দ হওয়ার ঘটনায়ও বিচারের দাবিতে খুঁজে ছিলেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানান, “কেন্দ্র অভূতপূর্ব গতিতে মাদক চক্র ভাঙছে” এবং অভিযানে একাধিক সংস্থার সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত প্রতিফলিত হয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘মাদকমুক্ত ভারত’ লক্ষ্যে অবদান রাখছে।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ মাস ধরে নজরদারি ও প্রযুক্তিগত নজরদারি চালিয়ে চক্রের একটি সুসংগঠিত নেটওয়ার্ক উদ্ঘাটিত হয়। চক্রটি বহুসংখ্যক কুরিয়ার, নিরাপদ বাসস্থান এবং স্তরভিত্তিক হ্যান্ডলার ব্যবহার করে চলত। দিল্লি ছিল দেশীয় ও বিদেশি মাদক পরিবহনের মূল কেন্দ্র।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সী শেইন ওয়ারিস (আমরোহা, উত্তরপ্রদেশ) ছিল। তিনি নোয়িডা সেক্টর ৫ থেকে আটক হন। একজন সেলস ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ওয়ারিস চক্রের নির্দেশনায় কাজ করতেন। তিনি নকল সিম এবং এনক্রিপ্টেড অ্যাপ যেমন হোয়াটসঅ্যাপ ও জাঙ্গি ব্যবহার করে কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের ভূমিকা স্বীকার করেন এবং তদন্তকারীদের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র প্রদান করেন। এর মধ্যে ছিলেন নাগাল্যান্ডের এস্তের কিনিমি, যিনি সম্প্রতি লজিস্টিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একটি মাদক চালানের পরিচালনা করছিলেন।
ওয়ারিসের তথ্য অনুযায়ী, এনসিবি ও নাগাল্যান্ড পুলিশ মিলে কিনিমির চত্তরপুর এঙ্ক্লেভ ফেজ-২ এর বাসায় অভিযান চালিয়ে বৃহৎ চালান জব্দ করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, এই সিন্থেটিক মাদক চক্র বিদেশি অপারেটরের অধীনে সক্রিয় ছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে মূলহাতকে ভারতের কাছে ফিরিয়ে এনে আইনি ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। এছাড়া পুরো সরবরাহ চেইন, আর্থিক লেনদেন, লজিস্টিক কেন্দ্র ও সম্ভাব্য সঞ্চয়স্থল চিহ্নিত করতে আরও তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, এটি দিল্লিতে জব্দকৃত মেথামফেটামিনের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ চালান। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পুরো নেটওয়ার্ক ভাঙা না পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং মাদকের বিদেশি বাজারে প্রবেশ রোধে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।