অনুমোদনের অপেক্ষায় ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন বর্ডার ফেন্সিং ডিজাইন: বিএসএফ ত্রিপুরা আইজি
নিউজ ডেস্ক
ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে বার্বড–ওয়্যার (কাঁটাতারের) বেড়ার নতুন নকশা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি) অলোকে কুমার চক্রবর্তী।
আজ রোববার (৩০ নভেম্বর ২০২৫) তিনি জানান, সীমান্তে ব্যবহৃত পুরোনো কাঁটাতারের বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে এবং তা প্রতিস্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে (এমএইচএ) প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মোট ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৮৫৬ কিলোমিটার।
আইজি চক্রবর্তী বলেন, “ত্রিপুরায় অতিবৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বহু স্থানে পুরোনো ফেন্সিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ধাপে ধাপে সব পুরোনো কাঁটাতার প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। নতুন ও উন্নত নকশার ফেন্সিং স্থাপনের প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুতই নতুন ডিজাইনের সীমান্তবেষ্টনী স্থাপন শুরু হলে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী হবে।
বিএসএফ আইজি আরও দাবি করেন, ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি “স্বাভাবিক” এবং দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে “অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক” বিদ্যমান।
তিনি বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তার প্রথম সারির বাহিনী হিসেবে বিএসএফ সবসময় সতর্ক রয়েছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী যৌথ টহল, বিশেষ টহল ও সীমান্ত যোগাযোগ কর্মসূচি নিয়মিত চলছে।”
গরু পাচার প্রসঙ্গে তিনি জানান, জিরো লাইন ও সীমান্ত হাট এলাকায় বিএসএফ কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে। উদ্ধার হওয়া গবাদিপশু সাধারণত ‘ধ্যান ফাউন্ডেশন’-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়, তবে জায়গা সংকট হলে স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করা হয়।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
