ভারতের ত্রিপুরায় ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারান এবং পোমাং অভিষেক সম্পন্ন, খগেশ্বর ত্রিপুরার বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ

নিউজ ডেস্ক
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বসবাসরত ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বতন্ত্র রীতি-নীতি ও প্রথাগত আইন বাস্তবায়ন সম্পর্কিত একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ত্রিপুরাবাসীকে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো নিজেদের মধ্যকার ছোট-খাট বিরোধ মিমাংসা, রীতি-নীতি ও প্রথাগত আইন প্রনয়ণের ক্ষমতা প্রদান করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এ উপলক্ষ্যে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার ত্রিপুরা রাজ্যের নারান এবং পোমাং (হেডম্যান-কার্বারী) অভিষেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ত্রিপুরার চুবালাল বুথু সংগঠনের আয়োজনে ধলাই জেলার গান্ধাছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১ম রাজ্য পর্যায়ে আয়োজিত সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মহারাজা এইচ এইচ প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য। এছাড়া প্রধান অতিথি হিসেবে লোকসভার সংসদ সদস্য রেবতী কুমার ত্রিপুরাও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভারতীয় লোকসভার সাবেক সংসদ সদস্য জিতেন্দ্র চৌধুরী ও বাংলাদেশ থেকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য খগেশ্বর ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার চুবালাল বুথু সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সচিন্দ্র ত্রিপুরার সভাপতিত্বে ত্রিপুরা রাজ্যের বেশ কয়েকজন এমএলএ সহ গন্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সর্বসম্মতিক্রমে নারান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বীরেন্দ্র ত্রিপুরা। এছাড়া পোমাং হিসেবে ৩২ ও রোয়াজা হিসেবে ৩০১ জন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরে নব নির্বাচিত নারান, পোমাং ও রোয়াজাদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে তাদের মাথায় পাগড়ি পড়িয়ে দেন ত্রিপুরার মহারাজা এইচ এইচ প্রদ্যুৎ কিশোর মানিক্য।
সূত্র মতে, এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রথমবারের মতো নারান এবং পোমাং (হেডম্যান-কার্বারী) প্রথার প্রচলন শুরু হয়েছে।

এর আগে, বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরায় ১ম বারের মতো অনুষ্ঠিত রাজ্য পর্যায়ের নারান-পোমাং অনুষ্ঠানে যোগ দিতে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য ও ত্রিপুরা লোকগীতির লেখক এবং ত্রিপুরা কল্যান সংসদ, বাংলাদেশ এর সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খগেশ্বর ত্রিপুরা ভারতে পৌঁছালে বেলুনিয়া ইমিগ্রেশন কেন্দ্রে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন ত্রিপুরা চুবুলাল বুথু, টিএস ও ত্রিপুরা লোকগীতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। খগেশ্বর ত্রিপুরার এই সম্মেলনে উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেন আয়োজকরা।