‘পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিবেদিতভাবে কাজ করছে সেনাবাহিনী’

‘পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিবেদিতভাবে কাজ করছে সেনাবাহিনী’

‘পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিবেদিতভাবে কাজ করছে সেনাবাহিনী’
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ে শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নয়, বরং সকল সম্প্রদায়ের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিবেদিতভাবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড ও রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিছু আঞ্চলিক স্বশস্ত্র সংগঠন পাহাড়ে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত করছে এবং সাধারণ মানুষের জীবনমানকে পিছিয়ে দিচ্ছে জানিয়ে রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

অঅজ রোববার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়ার চেলাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে শীতবস্ত্র, ক্রীড়া সামগ্রী এবং নগদ অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

‘পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিবেদিতভাবে কাজ করছে সেনাবাহিনী’

মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার শীতার্ত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কষ্ট লাঘবে মানবিক এসব সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে রাঙামাটি রিজিয়ন এবং সদর জোনের উদ্যোগে আয়োজিত এসব জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী স্থানীয় জনগণের হৃদয়ে নতুন আস্থা ও প্রত্যাশা তৈরি করেছে।

রিজিয়ন কমান্ডারের উপস্থিতিতে এদিন এলাকার দুই শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র এবং দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একটি আবাসিক হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি সদর জোনের জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. একরামুল রাহাত, স্থানীয় ইউপি মেম্বার মন্টু চাকমা, অমর বিন্দু চাকমা, পুর্ণধন চাকমা, শিবমনি চাকমা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নলিনী মোহন চাকমা ও হারাঙী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কৃষ্ণ রতন চাকমা।

স্থানীয়দের মতে, সেনাবাহিনীর এসব কল্যাণমূলক উদ্যোগ শুধু মানবিক সহায়তাই নয়, বরং অঞ্চলটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সমাজের অন্যদের অনুপ্রাণিত করার একটি বড় উদাহরণ। পাহাড়ে প্রতিকূল ভৌগোলিক বাস্তবতা এবং জটিল সামাজিক পরিস্থিতির মধ্যেও সেনাবাহিনীর নিরলস কাজ স্থানীয় মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করছে।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীদের তৎপরতায় যখন বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠছে, ঠিক তখনই সেনাবাহিনীর এই মানবিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পাহাড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

প্রসঙ্গত, সামরিক বাহিনীর এমন উদ্যোগ শুধু শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই নয়, বরং সামগ্রিকভাবে পাহাড়ে সামাজিক সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ভিত্তিকে আরও সুদৃঢ় করছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed