রুমায় মোটরসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার, কেএনএফের দিকে সন্দেহের তীর
![]()
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবান পার্বত্য জেলার রুমা উপজেলার ময়ূরপাড়া পাহাড়ের জঙ্গল থেকে লালরাম সাং বম (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ বম জনগোষ্ঠীর সংগঠন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের (বিএমসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের ময়ূরপাড়া পাহাড় থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে জঙ্গলে লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন জুম চাষিরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
ধারণা করা হচ্ছে, তিন থেকে চার দিন আগে হত্যার পর লাশটি ওই এলাকায় ফেলে রাখা হয়। লাশে পচন ধরায় পরিচয় নিশ্চিত করতে স্থানীয় পাড়াবাসীর সহায়তা নেয় পুলিশ। পরে তারা লাশটি লালরাম সাং বমের বলে শনাক্ত করেন।
নিহত লালরাম সাং বম ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। তার বাড়ি রেমাক্রিপ্রাংসা ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন চুংসংপাড়া এলাকায়, যা ময়ূরপাড়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী জানান, ময়নাতদন্তে লাশের মাথা ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রুমা থানার ওসি মো. সোহরাওয়ার্দ্দী জানান, উদ্ধার করা লাশটি প্রায় গলিত অবস্থায় ছিল। শনাক্ত করার পর নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি বম সোশ্যাল কাউন্সিলের নেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত–তা এখনো স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় পর্যবেক্ষক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, পাহাড়ি এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে সশস্ত্র চাঁদাবাজ গ্রুপ কেএনএফ-এর প্রভাব বিস্তার, মানুষ অপহরণ ও হত্যার ঘটনা বেড়েছে, তাতে লালরাম সাং বমের হত্যাকাণ্ডেও সংগঠনটির সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো পক্ষকে দায়ী করা হয়নি, তবে দুর্গম ঘটনাস্থল, হত্যার ধরন ও সাম্প্রতিক সহিংসতার ধরন বিশ্লেষণ করে অনেকেই এটিকে কেএনএফের তৎপরতার অংশ হিসেবে দেখছেন।
অসমর্থিত একটি সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গতিবিধির তথ্য সরবরাহ, রশদ সরবরাহ ও চাঁদাবাজিতে সম্পৃক্ত করতে স্থানীয় নিরীহ যুবকদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চালায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। তাদের ডাকে সাড়া না দিলে অনেককেই কঠিনতম শাস্তির হুমকিও দেয়া হয়।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।