পাকিস্তান আর্মির ফুটবল ম্যাচে তুমুল মারামারি, আহত কয়েকজন
![]()
নিউজ ডেস্ক
পাকিস্তানের করাচিতে ন্যাশনাল গেমসের ফুটবল সেমিফাইনাল শেষে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও ওয়াপদা (WAPDA) ফুটবল দল।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা ‘পিটিআই’ জানিয়েছে, করাচির কেপিটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের পর দুই দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে হাতাহাতি, কিল-ঘুষি ও লাথি মারার ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন (পিএফএফ) এবং দেশটির অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
ম্যাচটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হওয়ার কারণে মারামারির দৃশ্যগুলো ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, খেলার মাঠ মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় পাকিস্তান আর্মি দলের উদযাপনের ভঙ্গি নিয়ে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয়ের পর আর্মি দলের খেলোয়াড়রা ওয়াপদা দলের ডাগআউটের সামনে গিয়ে উল্লাস প্রকাশ করলে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এছাড়া ম্যাচে রেফারি পাকিস্তান আর্মিকে একটি পেনাল্টি কিক উপহার দেওয়ায় আগে থেকেই অসন্তুষ্ট ছিল ওয়াপদা দল।
পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ রূপ নেয় যে, ওয়াপদার কয়েকজন খেলোয়াড় ম্যাচ রেফারিকে ধাওয়া করে তার ড্রেসিংরুম পর্যন্ত নিয়ে যান। সেখানে রেফারিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে অন্য কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। যেহেতু এটি ন্যাশনাল গেমসের অন্তর্ভুক্ত, তাই পাকিস্তান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনও বিষয়টি তদন্ত করবে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা নিজস্ব তদন্ত চালাব। যারা এই মারামারি শুরু করেছে বা উসকানি দিয়েছে, সেই সব খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।