বাঘাইছড়িতে জুমের আগুনে পুড়ছে বনাঞ্চল, হুমকির মুখে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য
![]()
নিউজ ডেস্ক
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়িতে পাহাড়ীদের জুমের ক্ষেতে দেয়া আগুনে অবাদে পুড়ছে শত শত একর পাহাড়ী বনাঞ্চল, এতে করে হুমকির সম্মুখীন বন্যপ্রাণীদের অভয়াশ্রম। উপজেলার সাজেক এলাকায় কাচালং ও মাচালং রিজার্ভ ফরেষ্ট ও আশপাশের পাহাড়ে জুমে আগুন দিয়ে অবাধে ধ্বংস করা হচ্ছে এসব সংরক্ষিত পাহাড়ী বনাঞ্চল। মাঝে মাঝে জুমের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে লোকালয়ে, এতে পুড়ছে অনেক বসত ঘরও।
ভূ-তত্ববিদদের মদে, অবাধে বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় দেখা দিচ্ছে চরম পানির অভাব। ফলে বাড়ছে পাহাড়ে পানি বাহিত রোগবালাই।
এদিকে পাহাড়ে আগুন দেয়া থেকে স্থানীয়দের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করা হলেও লাগাম টানা যাচ্ছে না এই আগুনের।
স্থানীয় কার্বারীরা বলছেন, তারা নিরুপায় হয়েই আগুন দেয় পাহাড়ে, তাদের খাদ্যের সংকট রয়েছে, খাদ্যের যোগানে তাদের বিকল্প কোন কর্মসংস্থান নেই, আগুন না দিলে চাষ না হলে না খেয়ে থাকতে হবে। তাদের দাবি সরকার যদি তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেয় তাহলে তারা জুম চাষ ছেড়ে দিবে আর তাতেই পাহাড়ে আগুন দেয়া বন্ধ হবে।
বাঘাইছড়ি পরিবেশে সুরক্ষা কমিটির সভাপতি ও কাচালং সরকারি কলেজের জীববিজ্ঞানের প্রভাষক আবুল ফজল মনে করেন জুম চাষের নামে অবাধে বনাঞ্চল ধ্বংস করার পরিনাম হবে ভয়াবহ। পানির স্তর শুকিয়ে যাবে, নেমে আসবে চরম বিপর্যয়, তাই বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের জুম চাষ থেকে বিরত রাখতে হবে।
অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক উপজাতিভিত্তিক দল ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)’র বাঘাইছড়ির সমন্বয়ক অশিম প্রিয় চাকমা বলেন, পাহাড়ে বৃহৎপরিসরে ফলজ বাগান ও বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে কর্মসংস্হানের ব্যাবস্থা করলেই বন্ধ হবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এই জুম চাষ।